অবিলম্বে মুফতি ওয়াক্কাসকে মুক্তি না দেয়া হলে এর প্রতিক্রিয়ায় সারা দেশে সৃষ্ট যে কোনো পরিস্থিতির দায়ভার সরকারকেই নিতে হবে বলে হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নেতারা।
গতকাল এক যৌথ বিবৃতিতে দেশশীর্ষ আলেম ও হেফাজতের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীসহ দলের কেন্দ্রীয় নেতারা এ হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
বিবৃতিতে হেফাজতের শীর্ষ নেতারা একই সঙ্গে মন্তব্য করেছেন, মুফতি ওয়াক্কাসকে গ্রেফতার করে সরকার তাওহিদি জনতার ঈমানি আন্দোলনে ঘি ঢেলে দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ৫ মে মতিঝিলে হেফাজতের সমাবেশ ঘিরে সহিংসতার অভিযোগে সোমবার রাজধানীর মালিবাগ চৌধুরীপাড়ায় একটি সমাবেশ থেকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি টিম গ্রেফতার করে হেফাজতের নায়েবে আমির, সাবেক মন্ত্রী ও বিশিষ্ট আলিমে দীন মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাসকে।
এ ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে অবিলম্বে হেফাজতের নায়েবে আমির ও ১৮ দল নেতা মুফতি ওয়াক্কাসের মুক্তি দাবি করেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া।
এছাড়া একই সঙ্গে মুফতি ওয়াক্কাসকে গ্রেফতারের ঘটনায় দেশশীর্ষ আলেমসমাজ বিভিন্ন বক্তৃতা-বিবৃতির মাধ্যমে সরকারের প্রতি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে অবিলম্বে তার মুক্তির দাবি করেন।
এদিকে মুফতি ওয়াক্কাসকে গ্রেফতারের পর ৫ মে সহিংসতার অভিযোগে মতিঝিল থানায় দায়ের করা দুটি মামলায় ১০ দিন করে ২০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে ডিবি পুলিশের পক্ষ থেকে।
গতকাল তাকে ঢাকা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট এরফান উল্লার আদালতে হাজির করে এ রিমান্ড চাওয়া হয়। বিচারক ৯ আগস্ট মুফতি ওয়াক্কাসের রিমান্ড ও জামিন আবেদন শুনানির দিন ধার্য করেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বিবৃতি দেন দেশশীর্ষ আলেম আল্লামা শাহ আহমদ শফীসহ হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের শীর্ষ নেতারা।
বিবৃতিতে নেতারা বলেন, সরকার একদিকে গ্রেফতার নাস্তিক ব্লগারদের মুক্তি দিয়ে সমাজে অবাধে তাদের ইসলামবিদ্বেষী অপতত্পরতা চালানোর সুযোগ দিচ্ছে, অন্যদিকে আলিম-ওলামা, ইমাম-খতিব ও নবীপ্রেমিক জনতার বিরুদ্ধে মারমুখী অবস্থান নিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতা মুফতি ওয়াক্কাসকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বিবৃতিতে হেফাজতের নেতারা বলেন, সরকার যদি মনে করে, আলেম ও ওলামা হেফাজত নেতাদের গ্রেফতার করে শাপলা চত্বরের গণহত্যাকে ধামাচাপা দেয়া যাবে, তাহলে এটা তাদের চরম নির্বুদ্ধিতা বৈকি?
‘সরকার কেন জেল-জুলম ও হত্যা করে, তাদের দমিয়ে রাখার শক্তি পৃথিবীতে কারো নেই’—এ দাবি করে বিবৃতিতে হেফাজত নেতারা তারা দেশের লাখ লাখ নবীপ্রেমিক জনতা, আল্লাহ, রাসুল ও কোরআনের ইজ্জত রক্ষায় খালি হাতে যৌথবাহিনীর বন্দুক আর সাঁজোয়া যানের সামনে বুক পেতে দিতে পারে বলে উল্লেখ করেন।
বিবৃতিতে তারা একই সঙ্গে ‘নিরস্ত্র, নিরীহ ও জিকিররত নবীপ্রেমিক মুসলমানদের ওপর হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে উল্টো আলিম-ওলামা ও হেফাজত নেতাদের মামলায় ফাঁসানো’ অত্যন্ত লজ্জাজনক বিষয় বলেও অভিযোগ করেন।
বিবৃতিতে আল্লামা শফীসহ হেফাজত নেতারা সরকারের উদ্দেশে হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, অবিলম্বে মুফতি ওয়াক্কাসকে মুক্তি দেয়া না হলে এর প্রতিক্রিয়ায় সারা দেশে সৃষ্ট যেকোনো পরিস্থিতির দায়ভার সরকারকে বহন করতে হবে।
বিবৃতি দেয়া হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের অন্য নেতারা হলেন—দলের সিনিয়র নায়েবের আমির আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী, মহাসচিব আল্লামা হাফেজ জুনাইদ বাবুনগরী, নায়েবে আমির আল্লামা শামসুল আলম, মাওলানা শাহ আহমদুল্লাহ আশরাফ, মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমী, মুফতি ইজাহরুল ইসলাম চৌধুরী, মাওলানা আবদুল মালেক হালিম, মাওলানা তাজুল ইসলাম, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মাওলানা ইলিয়াস ওসমানী, মুফতি হারুন ইজহার।
মুফতি ওয়াক্কাসের মুক্তির দাবিতে হাটহাজারীতে বিক্ষোভ : এদিকে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে গতকাল মুফতি ওয়াক্কাসের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেছে পৌর হেফাজত নেতারা।
গতকাল বিকাল ৪টায় হাটহাজারী ডাকবাংলো চত্বর থেকে হেফাজতে ইসলাম হাটহাজারী পৌরসভার নেতারা এ বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি হাটহাজারী সদরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে ডাকবাংলো চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
এর আগে মিছিলপূর্ব সমাবেশে হেফাজতে ইসলাম হাটহাজারী পৌরসভার সভাপতি মাওলানা মীর ইদরীসের সভাপতিত্বে বক্তৃতা করেন হেফাজত নেতা মাওলানা নাসিরুদ্দিন মুনির, মাওলানা জাকারিয়া নোমান ফয়জী, মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম মেহদী, মাওলানা এমরান, মাওলানা আবু বকর, মাওলানা আলমগীর, মাওলানা জুনাইদ বিন ইয়াহইয়া, মাওলানা কামরুল ইসলাম, হাফেজ বশির আহমদ ও আতিকুল্লাহ প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির মুফতি ওয়াক্কাসের অবিলম্বে মুক্তির দাবি করে বলেন, একজন মুফতি ওয়াক্কাসকে গ্রেফতার করে সরকার চরম ভুল সিদ্ধান্ত নিল। এর মাধ্যমে তারা একের পর এক অপকর্ম করে নিজেদের পাপের বোঝা ভারী করে তুলছে।
তারা বলেন, শাপলা চত্বরের রক্তে দাগ শুকায়নি, শহীদের মা-বোন ও আপনজনদের কান্না থামেনি, আমরা আমাদের ভাইদের ভুলে যাইনি, সেদিন বেশি দূরে নয়, গোটা দেশের নবীপ্রেমিক জনতা নাস্তিক-মুরতাদদের পৃষ্ঠপোষক ইসলামবিদ্বেষী সরকারের সব অপকর্মের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়বে।
এ সময় তারা আরও বলেন, সরকার যদি অবিলম্বে মুফতি ওয়াক্কাসসহ আলিম-ওলামা ও হেফাজত নেতাদের মুক্তি না দেয় অচিরেই সারা দেশে নতুনভাবে আন্দোলনের দাবানল জ্বলে উঠবে। তাওহিদি জনতার সেই পুনর্জাগরণের জোয়ারে ফেরআউন-নমরুদের মতো নাস্তিক্যবাদী সরকারের তখতে তাউস ভেসে যাবে।
মুফতি ওয়াক্কাসের গ্রেফতারে মদিনা শাখার প্রতিবাদ : হেফাজতে ইসলামের অন্যতম নায়েবে আমির ও সাবেক মন্ত্রী মুফতি ওয়াক্কাসের গ্রেফতারের প্রতিবাদে হেফাজতে মদিনা মুনাওয়ারা শাখায় এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মদিনা মুনাওয়ারা শাখার সভাপতি সাইয়েদ রফিকুল ইসলাম মাদানীর সভাপতিত্বে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মদিনা শাখা মজলিসে শূরা সভাপতি মাওলানা মসিহুল্লাহ মাদানী, মাওলানা জালালুদ্দিন মাদানী, মাওলানা লোকমান হোসাইন মাদানী, মাওলানা আবদুল জলিল মাদানী, মাওলানা আবুল কালাম মাদানী, মাওলানা শাহাদাত হোসাইন মাদানী, মাওলানা সুফিয়ান আনাসী, মাওলানা বশির আহমদ ও মাওলানা মুহিউদ্দীন প্রমুখ।
গতকাল এক যৌথ বিবৃতিতে দেশশীর্ষ আলেম ও হেফাজতের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীসহ দলের কেন্দ্রীয় নেতারা এ হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
বিবৃতিতে হেফাজতের শীর্ষ নেতারা একই সঙ্গে মন্তব্য করেছেন, মুফতি ওয়াক্কাসকে গ্রেফতার করে সরকার তাওহিদি জনতার ঈমানি আন্দোলনে ঘি ঢেলে দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ৫ মে মতিঝিলে হেফাজতের সমাবেশ ঘিরে সহিংসতার অভিযোগে সোমবার রাজধানীর মালিবাগ চৌধুরীপাড়ায় একটি সমাবেশ থেকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি টিম গ্রেফতার করে হেফাজতের নায়েবে আমির, সাবেক মন্ত্রী ও বিশিষ্ট আলিমে দীন মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাসকে।
এ ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে অবিলম্বে হেফাজতের নায়েবে আমির ও ১৮ দল নেতা মুফতি ওয়াক্কাসের মুক্তি দাবি করেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া।
এছাড়া একই সঙ্গে মুফতি ওয়াক্কাসকে গ্রেফতারের ঘটনায় দেশশীর্ষ আলেমসমাজ বিভিন্ন বক্তৃতা-বিবৃতির মাধ্যমে সরকারের প্রতি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে অবিলম্বে তার মুক্তির দাবি করেন।
এদিকে মুফতি ওয়াক্কাসকে গ্রেফতারের পর ৫ মে সহিংসতার অভিযোগে মতিঝিল থানায় দায়ের করা দুটি মামলায় ১০ দিন করে ২০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে ডিবি পুলিশের পক্ষ থেকে।
গতকাল তাকে ঢাকা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট এরফান উল্লার আদালতে হাজির করে এ রিমান্ড চাওয়া হয়। বিচারক ৯ আগস্ট মুফতি ওয়াক্কাসের রিমান্ড ও জামিন আবেদন শুনানির দিন ধার্য করেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বিবৃতি দেন দেশশীর্ষ আলেম আল্লামা শাহ আহমদ শফীসহ হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের শীর্ষ নেতারা।
বিবৃতিতে নেতারা বলেন, সরকার একদিকে গ্রেফতার নাস্তিক ব্লগারদের মুক্তি দিয়ে সমাজে অবাধে তাদের ইসলামবিদ্বেষী অপতত্পরতা চালানোর সুযোগ দিচ্ছে, অন্যদিকে আলিম-ওলামা, ইমাম-খতিব ও নবীপ্রেমিক জনতার বিরুদ্ধে মারমুখী অবস্থান নিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতা মুফতি ওয়াক্কাসকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বিবৃতিতে হেফাজতের নেতারা বলেন, সরকার যদি মনে করে, আলেম ও ওলামা হেফাজত নেতাদের গ্রেফতার করে শাপলা চত্বরের গণহত্যাকে ধামাচাপা দেয়া যাবে, তাহলে এটা তাদের চরম নির্বুদ্ধিতা বৈকি?
‘সরকার কেন জেল-জুলম ও হত্যা করে, তাদের দমিয়ে রাখার শক্তি পৃথিবীতে কারো নেই’—এ দাবি করে বিবৃতিতে হেফাজত নেতারা তারা দেশের লাখ লাখ নবীপ্রেমিক জনতা, আল্লাহ, রাসুল ও কোরআনের ইজ্জত রক্ষায় খালি হাতে যৌথবাহিনীর বন্দুক আর সাঁজোয়া যানের সামনে বুক পেতে দিতে পারে বলে উল্লেখ করেন।
বিবৃতিতে তারা একই সঙ্গে ‘নিরস্ত্র, নিরীহ ও জিকিররত নবীপ্রেমিক মুসলমানদের ওপর হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে উল্টো আলিম-ওলামা ও হেফাজত নেতাদের মামলায় ফাঁসানো’ অত্যন্ত লজ্জাজনক বিষয় বলেও অভিযোগ করেন।
বিবৃতিতে আল্লামা শফীসহ হেফাজত নেতারা সরকারের উদ্দেশে হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, অবিলম্বে মুফতি ওয়াক্কাসকে মুক্তি দেয়া না হলে এর প্রতিক্রিয়ায় সারা দেশে সৃষ্ট যেকোনো পরিস্থিতির দায়ভার সরকারকে বহন করতে হবে।
বিবৃতি দেয়া হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের অন্য নেতারা হলেন—দলের সিনিয়র নায়েবের আমির আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী, মহাসচিব আল্লামা হাফেজ জুনাইদ বাবুনগরী, নায়েবে আমির আল্লামা শামসুল আলম, মাওলানা শাহ আহমদুল্লাহ আশরাফ, মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমী, মুফতি ইজাহরুল ইসলাম চৌধুরী, মাওলানা আবদুল মালেক হালিম, মাওলানা তাজুল ইসলাম, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মাওলানা ইলিয়াস ওসমানী, মুফতি হারুন ইজহার।
মুফতি ওয়াক্কাসের মুক্তির দাবিতে হাটহাজারীতে বিক্ষোভ : এদিকে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে গতকাল মুফতি ওয়াক্কাসের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেছে পৌর হেফাজত নেতারা।
গতকাল বিকাল ৪টায় হাটহাজারী ডাকবাংলো চত্বর থেকে হেফাজতে ইসলাম হাটহাজারী পৌরসভার নেতারা এ বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি হাটহাজারী সদরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে ডাকবাংলো চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
এর আগে মিছিলপূর্ব সমাবেশে হেফাজতে ইসলাম হাটহাজারী পৌরসভার সভাপতি মাওলানা মীর ইদরীসের সভাপতিত্বে বক্তৃতা করেন হেফাজত নেতা মাওলানা নাসিরুদ্দিন মুনির, মাওলানা জাকারিয়া নোমান ফয়জী, মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম মেহদী, মাওলানা এমরান, মাওলানা আবু বকর, মাওলানা আলমগীর, মাওলানা জুনাইদ বিন ইয়াহইয়া, মাওলানা কামরুল ইসলাম, হাফেজ বশির আহমদ ও আতিকুল্লাহ প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির মুফতি ওয়াক্কাসের অবিলম্বে মুক্তির দাবি করে বলেন, একজন মুফতি ওয়াক্কাসকে গ্রেফতার করে সরকার চরম ভুল সিদ্ধান্ত নিল। এর মাধ্যমে তারা একের পর এক অপকর্ম করে নিজেদের পাপের বোঝা ভারী করে তুলছে।
তারা বলেন, শাপলা চত্বরের রক্তে দাগ শুকায়নি, শহীদের মা-বোন ও আপনজনদের কান্না থামেনি, আমরা আমাদের ভাইদের ভুলে যাইনি, সেদিন বেশি দূরে নয়, গোটা দেশের নবীপ্রেমিক জনতা নাস্তিক-মুরতাদদের পৃষ্ঠপোষক ইসলামবিদ্বেষী সরকারের সব অপকর্মের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়বে।
এ সময় তারা আরও বলেন, সরকার যদি অবিলম্বে মুফতি ওয়াক্কাসসহ আলিম-ওলামা ও হেফাজত নেতাদের মুক্তি না দেয় অচিরেই সারা দেশে নতুনভাবে আন্দোলনের দাবানল জ্বলে উঠবে। তাওহিদি জনতার সেই পুনর্জাগরণের জোয়ারে ফেরআউন-নমরুদের মতো নাস্তিক্যবাদী সরকারের তখতে তাউস ভেসে যাবে।
মুফতি ওয়াক্কাসের গ্রেফতারে মদিনা শাখার প্রতিবাদ : হেফাজতে ইসলামের অন্যতম নায়েবে আমির ও সাবেক মন্ত্রী মুফতি ওয়াক্কাসের গ্রেফতারের প্রতিবাদে হেফাজতে মদিনা মুনাওয়ারা শাখায় এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মদিনা মুনাওয়ারা শাখার সভাপতি সাইয়েদ রফিকুল ইসলাম মাদানীর সভাপতিত্বে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মদিনা শাখা মজলিসে শূরা সভাপতি মাওলানা মসিহুল্লাহ মাদানী, মাওলানা জালালুদ্দিন মাদানী, মাওলানা লোকমান হোসাইন মাদানী, মাওলানা আবদুল জলিল মাদানী, মাওলানা আবুল কালাম মাদানী, মাওলানা শাহাদাত হোসাইন মাদানী, মাওলানা সুফিয়ান আনাসী, মাওলানা বশির আহমদ ও মাওলানা মুহিউদ্দীন প্রমুখ।