অপরিপক্ব রিটে ভুল রায়



গতকাল বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন জামায়াতের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক -সংগ্রাম

প্রেস ব্রিংিফংয়ে ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক
* এই রায় আইনের শাসন, গণতন্ত্র, মৌলিক অধিকার ও সংবিধানে পরিপন্থী* জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করে হাইকোর্ট প্যান্ডোরার বাক্স উন্মুক্ত করে দিয়েছেন* এই রায় সত্ত্বেও জামায়াতের রাজনৈতিক কর্মকান্ডে বাধা নেই


জামায়াতে ইসলামীর কৌঁসুলি ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেছেন, হাইকোর্টের ডিভিশনের একটি বৃহত্তর বেঞ্চে তরিকত ফেডারেশনের করা একটি রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করেছেন।
তিনি বলেন, হাইকোর্টের রায় সঠিক নয়। ভুল রায়। এর কারণ-প্রথমত রিট আবেদনটি অপরিপক্ক। নিবন্ধনের পুরো প্রক্রিয়াটি এখনো নির্বাচন কমিশনের বিবেচনাধীন। এমতাবস্থায় রিট চলতে পারে না। এই বিষয়ে বাংলাদেশ এবং ভারত ও যুক্তরাজ্যের উচ্চতর আদালতের অনেক নজির আমরা উপস্থাপন করেছিলাম কিন্তু সে সমস্ত নজির আদালত অগ্রাহ্য করেছেন।
নিবন্ধন বাতিলের মানে হচ্ছে জামায়াতে ইসলামী একটি দল হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না যদি আপিল বিভাগে আপিলের চূড়ান্ত নিষ্পত্তিতে হাইকোর্টের রায় বহাল থাকে। কিন্তু হাইকোর্টের রায়ের ফলে জামায়াতে ইসলামী একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে সকল প্রকার রাজনৈতিক কর্মকা-ে অংশগ্রহণে কোন বাধা নেই। সংবিধানের ৩৮ অনুচ্ছেদের অধীনে জামায়াত একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে কাজ করতে পারবে।
দ্বিতীয়ত ২০১০ সালের জানুয়ারী মাসে নির্বাচন কমিশন তাদের একটি স্মারকে উল্লেখ করেন যে, শুধুমাত্র আওয়ামী লীগ এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল ছাড়া বাকি যে ১১ টি দলকে নিবন্ধন দেয়া হয়েছে সবারই গঠনতন্ত্র ত্রুটিপূর্ণ এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ -এর সাথে সাংঘর্ষিক। উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, এই ১১টি দল ছাড়াও আরও কয়েকটি দলকে নির্বাচন কমিশন নিবন্ধন দিয়েছে যাদের গঠনতন্ত্র ত্রুটিপূর্ণ। সুতরাং আমরা মনে করি জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে আদালত প্যান্ডোরার বক্স উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। গঠনতন্ত্র এবং আইনের শাসনের জন্য এটি খুবই ক্ষতিকর হবে বলে আমরা মনে করি।
তৃতীয়ত জনস্বার্থে দায়েরকৃত সকল রিট পিটিশনের আবেদনকারী ক্লিন হ্যান্ডে বা স্বচ্ছ হাতে আদালতে আসবেন। এটাই আইনের বিধান। এই বিধান সুস্পষ্টভাবে লঙ্ঘিত হয়েছে। আবেদনকারীদের বক্তব্য হচ্ছে ইসলামী রাজনীতি সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক। অথচ মূল আবেদনকারী সংগঠন তরিকত ফেডারেশনের গঠনতন্ত্রে স্পষ্টভাবে জিহাদের কথা উল্লেখিত আছে যা কিনা জামায়াতে গঠনতন্ত্রেও অনুপস্থিত।
চতুর্থ কারণ হলো-গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় জনগণ সিদ্ধান্ত নেয় তারা কোন দলকে ভোট দেবে। এটাই গণতন্ত্রের মূল কথা। বাংলাদেশের পরিবর্তিত সংবিধানেও ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম’ ও রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বহাল আছে। এমতাবস্থায় ধর্মীয় দল হিসেবে জামায়াতের রাজনৈতিক নিবন্ধন বাতিল করার প্রশ্নই উঠে না। আমি নির্দ্বিধায় বলতে চাই এই রায় আইনের শাসন, গণতন্ত্র, মৌলিক অধিকার ও সংবিধানের পরিপন্থী। শুনানি চলাকালে আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের দুটি রায়ের নজির আদালতে পেশ করেছিলাম। এর মধ্যে কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়ানা মামলায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট বলেন, কমিউনিস্ট আদর্শ মার্কিন যুক্তরাস্ট্রের রাষ্ট্রীয় কাঠামোর বিরুদ্ধে হলেও সংবিধান প্রদত্ত রাজনৈতিক স্বাধীনতার নিশ্চয়তার কারণে কোনো ধরনের নিয়ন্ত্রণ সঠিক হবে না। সুপ্রিম কোর্ট সংবিধানের প্রথম সংশোধনীর বরাত দিয়ে বলেন, কোনো রাজনৈতিক দলের আদর্শ বা বিশ্বাসে বিপজ্জনক কিছু থাকলেও যতদিন রাজনৈতিক স্বাধীনতা থাকবে সুপ্রিম কোর্ট ততোদিন রাজনৈতিক দলের ওপর নিয়ন্ত্রণ বা হস্তক্ষেপ করবে না।
সুপ্রিম কোর্ট বার ভবনের মিলনায়তনে বিকাল সাড়ে ৩ টায় অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিংয়ে ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক এসব কথা বলেন। এ সময় জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন, সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশনের সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, এডভোকেট জসিম উদ্দিন সরকার, এডভোকেট মশিউল আলম, এডভোকেট তাজুল ইসলাম, বারের সহ-সম্পাদক এডভোকেট সাইফুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, এ রায় দিয়ে হাইকোর্ট নির্বাচন কমিশনের প্রতি অনাস্থা জানিয়েছে। কারণ ইসি জামায়াতকে নিবন্ধন দিয়েছিল। একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইসি যে নিবন্ধন দিয়েছিল এ রায়ের মধ্য দিয়ে ইসির অক্ষমতাকেই প্রকাশ পেয়েছে। ইসি দলের যে কোনো গঠনতন্ত্র দেখে নিবন্ধন দেয়। এ নিবন্ধনের বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে রাজনৈতিক বিষয় আদালতে টেনে আনা অনভিপ্রেত।
ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেছেন, রায়ের পর হাইকোর্ট সার্টিফিকেট দিয়েছেন। আপিলও করা হয়েছে। এর মানে আপিলটি এখন বিচারাধীন। আপিল বিভাগই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিবেন। এর আগে হাইকোর্টের রায়কে চূড়ান্ত হিসেবে বিবেচনা করা যাবে না।
ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদের কাছে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, যেহেতু আদালত সার্টিফিকেট দিয়েছেন তাই এখন চেম্বার জজ আদালত বিষয়টি শুনবেন। স্বাভাবিকভাবে স্থগিতের আরজি থাকবে। নিয়ম অনুসারে সার্টিফিকেট থাকায় রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত হওয়ার কথা।
নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী মহসিন রশিদ রায়ের পর সাংবাদিকদের বলেছেন, এ রায়ের সঙ্গে সঙ্গে এখন থেকেই জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল হয়ে গেলো। ফলে ইসির নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল হিসেবে দলীয় প্রতিক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।
মহসিন রশীদ এই রিটের শুনানিতে বলেছিলেন, ২০০৮ সালের ৪ নবেম্বর জামায়াতে ইসলামীকে সাময়িক নিবন্ধন দেয়া হয়। সে সময় সংবিধানে আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস, বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম ও রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের কথা ছিল। তখনকার পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সাময়িক নিবন্ধন দেয়া হয়। গঠনতন্ত্রকে শক্তিশালী করার জন্য সকল দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করার লক্ষ্য নিয়েই তখন ইসি সিদ্ধান্ত নেয়। তখন ইসির সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল। তিনি বলেন, সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী হয়েছে জামায়াতকে সাময়িক নিবন্ধন দেয়ার অনেক পরে।
মহসীন রশিদ বলেন, জামায়াতে ইসলামীর গঠনতন্ত্রে সন্তুষ্ট হয়ে সাময়িকভাবে নিবন্ধন দেয়া হয়েছিল। জামায়াতে ইসলামীর গঠনতন্ত্রের যেসব স্থানে অসঙ্গতি রয়েছে বলে বলা হচ্ছে, তা নিবন্ধন নেয়ার সময় প্রতিনিধির মাধ্যমে কেটে দেয়া হয়। তখন জামায়াতের পক্ষ থেকে বলা হয়, দলের কাউন্সিলে অনুমোদনের পর সংশোধিত গঠনতন্ত্র ইসিতে দাখিল করবে। এ বক্তব্য বিবেচনায় নিয়ে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৯০ (ডি) ধারা অনুসারে দলটিকে সাময়িক নিবন্ধন দেয়া হয়। তিনি বলেন, আইন অনুযায়ী সন্তুষ্টি সাপেক্ষে যে কোনো দলকে নিবন্ধন দেয়া যায়। তিনি বলেন, এ রিট করার আগে বাদির উচিত ছিলো ইসিতে আবেদন করা। কিন্তু তা না করে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।
১২ জুন শেষ কার্যদিবসের শুনানিতে ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক বলেছিলেন, যখন রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচন কমিশন নিবন্ধন দেয়, তখন সংবিধানের যে অবস্থায় ছিলো, সে অনুসারে জামায়াতের নিবন্ধন বৈধ ছিলো। কারণ, তখন সংবিধানের অন্যতম মূলনীতি ছিলো সর্বশক্তিমান আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস স্থাপন। সে সময় নির্বাচন কমিশন সবগুলো দলকেই সাময়িক নিবন্ধন দেয়। এখানে কোনো অনিয়ম হয়নি। আরো একটি বিষয় হলো- নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন সংস্থা। তারা এখনো কোনো সিদ্ধান্তে আসেনি। তারা কোনো সিদ্ধান্তে না আসা পর্যন্ত এ রিটটি চলতে পারে না।
তিনি বলেন, রাজনীতিতে সবারই অংশগ্রহণ করার অধিকার আছে। জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে কোন দলকে ভোট দেবে কি দেবে না। ১৯৭০ সাল থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সবগুলো জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। এসব নির্বাচনে জামায়াত কি পরিমাণ ভোট পেয়েছে, তারও একটি পরিসংখ্যান আদালতের কাছে জমা দেয়া হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক বলেন, আদালতে আসতে হলে ক্লিন হ্যান্ডে আসতে হবে- এটা নিয়ম। অথচ যারা জামায়াতের নিবন্ধনের বৈধতা নিয়ে রিট করেছেন, তাদের গঠনতন্ত্রেই ইসলামের কথা আছে, জিহাদের কথা আছে। অতএব তারা কেমন করে বলেন, জামায়াতের গঠনতন্ত্র ইসলামী হয়ে যাওয়ার কারণে সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক। এটা তারা বলতে পারেন না। সুতরাং তারা ক্লিন হ্যান্ডে আদালতে আসেননি। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশটি পূর্ণাঙ্গ আইন নয়। তিনি বলেন, পাকিস্তানে এমন একটি আইন হয়েছিলো। কিন্তু পাকিস্তানের আদালতে আইনটিকে অসাংবিধানিক বলে ঘোষণা করে।
শুনানিতে ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাককে সহায়তা করেন ব্যারিস্টার বেলায়েত হোসেন। রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর। দেশের বাইরে থাকায় রায়ের সময় তানিয়া আমীর আদালতে ছিলেন না।
প্রসঙ্গত তরিকত ফেডারেশনের তৎকালীন মহাসচিব সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী, জাকের পার্টির মহাসচিব মুন্সি আবদুল লতিফসহ ২৫ জন বিবাদী হয়ে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদনটি দায়ের করেছিলেন। তাদের রিটের প্রেক্ষিতে ২০০৯ সালের ২৭ জানুয়ারি ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৯০বি(১) (বি)(২) ও ৯০(সি) অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে হাইকোর্ট।
বিতর্কিত বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক (পরবর্তীতে প্রধান বিচারপতি) ও বিচারপতি মোঃ আবদুল হাই সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ এই রুল জারি করেন। এবিএম খায়রুল হক সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী তথা তত্ত্বাধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে রায় দেন। এ জন্য দেশে বর্তমানে রাজনৈতিক সংকট চলছে। এছাড়াও বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী বাতিল করায় শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাসনামলকে অবৈধ ঘোষিত হয়।
রিট আবেদনে বলা হয়, চার কারণে জামায়াত রাজনৈতিক দল হিসাবে নিবন্ধন পেতে পারে না। জামায়াত নীতিগতভাবে জনগণকে সকল ক্ষমতার উৎস বলে মনে করে না। সেই সঙ্গে আইন প্রণয়নে জনপ্রতিনিধিদের নিরঙ্কুশ ক্ষমতাকেও স্বীকার করে না। জামায়াত একটি সাম্প্রদায়িক দল। কিন্তু গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ অনুসারে কোনো সাম্প্রদায়িক দল নিবন্ধন পেতে পারে না। আবেদনে আরো বলা হয়, নিবন্ধন পাওয়া রাজনৈতিক দল ধর্ম-বর্ণ-লিঙ্গের কোনো বৈষম্য করতে পারবে না। কিন্তু জামায়াতের শীর্ষ পদে কখনো কোনো নারী বা অমুসলিম যেতে পারবেন না। আবেদনে আরো বলা হয়, কোনো রাজনৈতিক দলের বিদেশে কোনো শাখা থাকতে পারবে না। অথচ জামায়াত বিদেশের একটি সংগঠনের শাখা। তারা স্বীকারই করে, তাদের জন্ম ভারতে। বিশ্বজুড়ে তাদের শাখা রয়েছে।
জামায়াতের নিবন্ধন নিয়ে রুল জারির পর ওই বছরের ডিসেম্বরে একবার, ২০১০ সালের জুলাই ও নবেম্বরে দু’বার এবং ২০১২ সালের অক্টোবর ও নবেম্বরে দু’বার তাদের গঠনতন্ত্র সংশোধন করে নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়। এসব সংশোধনীতে দলের নাম ‘জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ’ পরিবর্তন করে ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’ করা হয়।
চলতি বছর ১০ মার্চ রিট আবেদনটি শুনানির জন্য বর্তমান বৃহত্তর বেঞ্চ গঠন করে দেন প্রধান বিচারপতি মোঃ মোজাম্মেল হোসেন। এর আগে রিট আবেদনটিতে সাংবিধানিক ও আইনের প্রশ্ন জড়িত থাকায় বৃহত্তর বেঞ্চে শুনানির জন্য আবেদনটি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠিয়ে দেন বিচারপতি এম মোয়াজ্জাম হোসেন ও বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ।