হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কার্যালয় উত্তর চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদরাসায় যখন এ প্রতিবেদক প্রবেশ করেন, তখন মাদরাসায় সিলেট থেকে আগত হেফাজত নেতাকর্মীরা অবস্থান করছিলেন। আল্লামা শাহ্ আহমদ শফীর একজন সহকারী জানান, হুজুর সিলেট প্রতিনিধিদের জুমার নামাজের পর সাক্ষাতের সময় দিয়েছেন। সুদূর সিলেট থেকে চট্টগ্রাম আসা নেতাকর্মীদের মাত্র দশ মিনিট সময় দেয়া সম্ভব হয়েছে আল্লামা শফীর পক্ষে। তাকে আরো পাঁচটি প্রতিনিধিদলের মুখোমুখি হতে হবে। সন্ধ্যায় এসে পৌঁছুবে নারায়ণগঞ্জ থেকে আগত হেফাজত নেতৃবর্গের কাফেলা। এরমধ্যে বেলা চারটার দিকে সাক্ষাতের সময় দেন এ প্রতিবেদককে।
কথা হয় হেফাজতের ভবিষ্যত কর্মসূচি বিষয়ে। আল্লামা শফী বলেন, নাস্তিক-মুরতাদ ও ধর্মবিদ্বেষী শক্তির বিরুদ্ধে আমাদের ঈমানী আন্দোলন চলবেই। ইসলামের স্বার্থে মৃত্যু পর্যন্ত আমরা কাজ করে যাব। হেফাজত রাজনৈতিক সংগঠন নয়। একটি মহৎ ধর্মীয় আন্দোলন হিসেবে এটি তার শান্তিপূর্ণ অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখবে। যেখানেই ইসলামবিরোধী কাজ সেখানেই আমাদের প্রতিবাদ। আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস, মহানবী (সাঃ) এর অবমাননাকারীদের শাস্তি এবং সর্বক্ষেত্রে ন্যায় বিচার, সুশাসন ও দুর্নীতিমুক্ত ব্যবস্থার দাবি নিয়ে হেফাজত সোচ্চার থাকবে- যতদিন না দাবি আদায় হয়। ক্ষমতায় কে রইল কে গেল তা আমাদের দেখার বিষয় নয়।
হাটহাজারী উপজেলা হেফাজতের বিশিষ্ট নেতা মাওলানা ইদরীস বলেন, উত্তর চট্টগ্রামে হেফাজতের উদ্যোগে পবিত্র রমজান শরীফে যতগুলো ইফতার ও দোয়ার মাহফিল হয়েছে, ১৪দল, ১৮ দলসহ অন্যসব সংগঠন মিলেও এতগুলো ইফতার মাহফিল করতে পারেনি। প্রতিটি মাহফিলে তিন হাজার থেকে পনের হাজার পর্যন্ত মুসল্লী ইফতার করেছেন। নেতৃবৃন্দ দীর্ঘসময় বক্তৃতা করেছেন। ঈদের পর এসব মানুষ নতুন করে আন্দোলনে সোচ্চার হবেন। হেফাজত তার দাবি নিয়ে দেশব্যাপী তৃণমূল গণসংযোগ করছে। দশগুণ শক্তি ও সংহতি নিয়ে মাঠে নামবে। উপজেলা হেফাজতের অন্যতম নেতা, বিগত উপজেলা নির্বাচনে হাটহাজারি থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে দ্বিতীয় স্থান অধিকারী প্রার্থী মাওলানা নাসিরুদ্দীন মুনির বলেন, রাজনীতিতে এলে চট্টগ্রামের অনেকগুলো আসনে হেফাজত অভাবনীয় চমক দেখাতে পারে। বিশেষ করে আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরীর এখন যে গ্রহণযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা ফটিকছড়ি আসনে আর কোন দলের প্রার্থীর পাত্তাও থাকবে না। হাটহাজারি আসনে হেফাজত প্রার্থী দিলে দলীয় রাজনীতির সকল হিসাব-কিতাব পাল্টে যাবে। কিন্তু আল্লামা আহমদ শফী কঠিনভাবে তার ঈমানী আন্দোলনকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখছেন। তিনি চান সরাসরি রাজনীতি বা নির্বাচন নয়, হেফাজত জাতীয় জীবনের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গনে ফ্যাক্টর হয়ে থাকুক। সকল প্রার্থীর জয়-পরাজয় নবীপ্রেমিক তৌহিদী জনতার সমর্থনের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ুক।
হেফাজত কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম নেতা মাওলনা মঈনুদ্দীন বলেন, দেশব্যাপী ধর্মবিদ্বেষী প্রার্র্র্থীদের বয়কট এবং হেফাজতের সমমনা প্রার্থীদের সংসদে পাঠানোর ক্ষেত্রে একটি নৈতিক নির্দেশনা আল্লামা আহমদ শফীর পক্ষ থেকে আসতে পারে। বড় দলগুলোর নমিনেশন পাওয়ার ক্ষেত্রে হেফাজতের সমর্থন লাভের আশায় অনেকেই ইতোমধ্যে হেফাজত নেতৃবৃন্দের সাথে যোগাযোগ শুরু করেছেন। বড় দলগুলোর শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে দেশব্যাপী হেফাজতের পছন্দনীয় প্রার্থীদের একটি তালিকাও সময়মত পৌঁছুতে পারে বলে তিনি ধারণা করছেন। হেফাজতের শীর্ষ পর্যায়ে খুব কৌশলী ও দৃঢ় পদক্ষেপের বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা চলছে বলে জানান তিনি। মুফতী মঈন বলেন, নির্দলীয় অরাজনৈতিক সংগঠন হলেও বহু রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও ব্যক্তি হেফাজতের ভেতরে রয়েছেন। দেশের রাজনীতিতে হেফাজতের কমিটমেন্টও রয়েছে। ইতোমধ্যে হেফাজত খুব গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হিসাবে আত্মপ্রতিষ্ঠায় সক্ষম হয়েছে। অতএব, আগামী দিনের রাজনীতি, আন্দোলন, নির্বাচন বা অন্য কোন পরিস্থিতি যাই সামনে আসুক, হেফাজত সময়ের দাবি পূরণে পিছপা হবে না।
হেফাজতের অন্যতম সংগঠক মাওলানা লোকমান আহমদ বলেন, দেশব্যাপী হেফাজত শক্তি সঞ্চয় করছে। রমজানে ইবাদত-বন্দেগী, নৈতিক ও অধ্যাত্মিক কর্মসূচির মাধ্যমে নেতাকর্মীরা মনোসংহতি সুদৃঢ় করেছেন। ঈদের পর জাতির প্রয়োজনে হেফাজত ন্যায়বিচার ও সুশাসনের পক্ষে রাজপথে নামবে। ইসলামবিদ্বেষী শক্তির দর্প চূর্ন করতে হেফাজত কঠিন সংগ্রামে অবতীর্ণ হবে ইনশাআল্লাহ। আমাদের আমীর আল্লামা শফী বলেছেন, ধর্মপ্রাণ মানুষের দেশে নাস্তিক, মুরতাদদের ঠাঁই নেই। যদি ধর্মবিদ্বেষী শক্তি ক্ষমতায় থাকে তাহলে দাড়ি-টুপি নিয়ে চলা যাবে না। মসজিদ-মাদরাসায় আগুন দেয়া হবে। ইসলামপন্থীদের উপর অত্যাচারের খড়গ নেমে আসবে। সুতরাং ভয়াবহ পরিণতির ব্যাপারে সজাগ থেকে দেশের আলেম-ওলামা ও ধর্মপ্রাণ যুবসমাজ ও নবীপ্রেমিক তৌহিদী জনতাকে জীবনবাজি রেখে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। ঈমানী আন্দোলনকে নস্যাৎ করার ক্ষমতা নাস্তিক, বেঈমান, দুর্নীতিবাজদের নেই। জনসমর্থন হারিয়ে ওরা এমনিতেই দেউলিয়া। মনোবল দৃঢ় রাখার জন্যে কিছু ফাও ও ভুয়া মন্তব্যই এখন তাদের পুঁজি। ঈমানী দাবি পূরণ ছাড়া ক্ষমতায় থাকা দূরের কথা, রাজনীতিতে টিকে থাকাই কারো পক্ষে সম্ভব হবে না। আগামী দিনে সেই ক্ষমতায় আসুক নবীপ্রেমী তৌহিদী জনতা ও দেশপ্রেমিক আলেম-ওলামা, পীর-মাশায়েখের মতামত উপেক্ষা করে কেউই টিকতে পারবে না। ৯২ ভাগ মানুষের ধর্মীয় চেতনাকে উপেক্ষা করলে খোদ গণতন্ত্র ও রাজনীতিও ব্যর্থ হতে পারে। দেশের ও দেশের মানুষের প্রকৃত কল্যাণে কোন নতুন বিকল্পকেই মানুষ স্বাগত জানাবে। গণতন্ত্রের মোড়কে স্বৈরতন্ত্র জনগণের ক্ষমতার নামে প্রচ্ছন্ন রাজতন্ত্র, সাংবিধানিক অনুশীলন ও অপরাজনীতির বিরুদ্ধে মানুষ রুখে দাঁড়াতে প্রস্তুত। জাতীয় মুক্তি ও অগ্রযাত্রার যে কোন সময়োপযোগী আহবানের সাথে জনগণের পাশে হেফাজতও থাকবে। কাউকে ক্ষমতায় বসানো বা ক্ষমতা থেকে নামানো হেফাজতের কাজ নয়। হেফাজত অরাজনৈতিক আন্দোলনের মাধ্যমে জাতীয় ভাবধারার প্রতিফলন সর্বত্র দেখতে চায়। জাতীয় রাজনীতিও এর বাইরে নয়।
কথা হয় হেফাজতের ভবিষ্যত কর্মসূচি বিষয়ে। আল্লামা শফী বলেন, নাস্তিক-মুরতাদ ও ধর্মবিদ্বেষী শক্তির বিরুদ্ধে আমাদের ঈমানী আন্দোলন চলবেই। ইসলামের স্বার্থে মৃত্যু পর্যন্ত আমরা কাজ করে যাব। হেফাজত রাজনৈতিক সংগঠন নয়। একটি মহৎ ধর্মীয় আন্দোলন হিসেবে এটি তার শান্তিপূর্ণ অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখবে। যেখানেই ইসলামবিরোধী কাজ সেখানেই আমাদের প্রতিবাদ। আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস, মহানবী (সাঃ) এর অবমাননাকারীদের শাস্তি এবং সর্বক্ষেত্রে ন্যায় বিচার, সুশাসন ও দুর্নীতিমুক্ত ব্যবস্থার দাবি নিয়ে হেফাজত সোচ্চার থাকবে- যতদিন না দাবি আদায় হয়। ক্ষমতায় কে রইল কে গেল তা আমাদের দেখার বিষয় নয়।
হাটহাজারী উপজেলা হেফাজতের বিশিষ্ট নেতা মাওলানা ইদরীস বলেন, উত্তর চট্টগ্রামে হেফাজতের উদ্যোগে পবিত্র রমজান শরীফে যতগুলো ইফতার ও দোয়ার মাহফিল হয়েছে, ১৪দল, ১৮ দলসহ অন্যসব সংগঠন মিলেও এতগুলো ইফতার মাহফিল করতে পারেনি। প্রতিটি মাহফিলে তিন হাজার থেকে পনের হাজার পর্যন্ত মুসল্লী ইফতার করেছেন। নেতৃবৃন্দ দীর্ঘসময় বক্তৃতা করেছেন। ঈদের পর এসব মানুষ নতুন করে আন্দোলনে সোচ্চার হবেন। হেফাজত তার দাবি নিয়ে দেশব্যাপী তৃণমূল গণসংযোগ করছে। দশগুণ শক্তি ও সংহতি নিয়ে মাঠে নামবে। উপজেলা হেফাজতের অন্যতম নেতা, বিগত উপজেলা নির্বাচনে হাটহাজারি থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে দ্বিতীয় স্থান অধিকারী প্রার্থী মাওলানা নাসিরুদ্দীন মুনির বলেন, রাজনীতিতে এলে চট্টগ্রামের অনেকগুলো আসনে হেফাজত অভাবনীয় চমক দেখাতে পারে। বিশেষ করে আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরীর এখন যে গ্রহণযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা ফটিকছড়ি আসনে আর কোন দলের প্রার্থীর পাত্তাও থাকবে না। হাটহাজারি আসনে হেফাজত প্রার্থী দিলে দলীয় রাজনীতির সকল হিসাব-কিতাব পাল্টে যাবে। কিন্তু আল্লামা আহমদ শফী কঠিনভাবে তার ঈমানী আন্দোলনকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখছেন। তিনি চান সরাসরি রাজনীতি বা নির্বাচন নয়, হেফাজত জাতীয় জীবনের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গনে ফ্যাক্টর হয়ে থাকুক। সকল প্রার্থীর জয়-পরাজয় নবীপ্রেমিক তৌহিদী জনতার সমর্থনের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ুক।
হেফাজত কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম নেতা মাওলনা মঈনুদ্দীন বলেন, দেশব্যাপী ধর্মবিদ্বেষী প্রার্র্র্থীদের বয়কট এবং হেফাজতের সমমনা প্রার্থীদের সংসদে পাঠানোর ক্ষেত্রে একটি নৈতিক নির্দেশনা আল্লামা আহমদ শফীর পক্ষ থেকে আসতে পারে। বড় দলগুলোর নমিনেশন পাওয়ার ক্ষেত্রে হেফাজতের সমর্থন লাভের আশায় অনেকেই ইতোমধ্যে হেফাজত নেতৃবৃন্দের সাথে যোগাযোগ শুরু করেছেন। বড় দলগুলোর শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে দেশব্যাপী হেফাজতের পছন্দনীয় প্রার্থীদের একটি তালিকাও সময়মত পৌঁছুতে পারে বলে তিনি ধারণা করছেন। হেফাজতের শীর্ষ পর্যায়ে খুব কৌশলী ও দৃঢ় পদক্ষেপের বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা চলছে বলে জানান তিনি। মুফতী মঈন বলেন, নির্দলীয় অরাজনৈতিক সংগঠন হলেও বহু রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও ব্যক্তি হেফাজতের ভেতরে রয়েছেন। দেশের রাজনীতিতে হেফাজতের কমিটমেন্টও রয়েছে। ইতোমধ্যে হেফাজত খুব গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হিসাবে আত্মপ্রতিষ্ঠায় সক্ষম হয়েছে। অতএব, আগামী দিনের রাজনীতি, আন্দোলন, নির্বাচন বা অন্য কোন পরিস্থিতি যাই সামনে আসুক, হেফাজত সময়ের দাবি পূরণে পিছপা হবে না।
হেফাজতের অন্যতম সংগঠক মাওলানা লোকমান আহমদ বলেন, দেশব্যাপী হেফাজত শক্তি সঞ্চয় করছে। রমজানে ইবাদত-বন্দেগী, নৈতিক ও অধ্যাত্মিক কর্মসূচির মাধ্যমে নেতাকর্মীরা মনোসংহতি সুদৃঢ় করেছেন। ঈদের পর জাতির প্রয়োজনে হেফাজত ন্যায়বিচার ও সুশাসনের পক্ষে রাজপথে নামবে। ইসলামবিদ্বেষী শক্তির দর্প চূর্ন করতে হেফাজত কঠিন সংগ্রামে অবতীর্ণ হবে ইনশাআল্লাহ। আমাদের আমীর আল্লামা শফী বলেছেন, ধর্মপ্রাণ মানুষের দেশে নাস্তিক, মুরতাদদের ঠাঁই নেই। যদি ধর্মবিদ্বেষী শক্তি ক্ষমতায় থাকে তাহলে দাড়ি-টুপি নিয়ে চলা যাবে না। মসজিদ-মাদরাসায় আগুন দেয়া হবে। ইসলামপন্থীদের উপর অত্যাচারের খড়গ নেমে আসবে। সুতরাং ভয়াবহ পরিণতির ব্যাপারে সজাগ থেকে দেশের আলেম-ওলামা ও ধর্মপ্রাণ যুবসমাজ ও নবীপ্রেমিক তৌহিদী জনতাকে জীবনবাজি রেখে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। ঈমানী আন্দোলনকে নস্যাৎ করার ক্ষমতা নাস্তিক, বেঈমান, দুর্নীতিবাজদের নেই। জনসমর্থন হারিয়ে ওরা এমনিতেই দেউলিয়া। মনোবল দৃঢ় রাখার জন্যে কিছু ফাও ও ভুয়া মন্তব্যই এখন তাদের পুঁজি। ঈমানী দাবি পূরণ ছাড়া ক্ষমতায় থাকা দূরের কথা, রাজনীতিতে টিকে থাকাই কারো পক্ষে সম্ভব হবে না। আগামী দিনে সেই ক্ষমতায় আসুক নবীপ্রেমী তৌহিদী জনতা ও দেশপ্রেমিক আলেম-ওলামা, পীর-মাশায়েখের মতামত উপেক্ষা করে কেউই টিকতে পারবে না। ৯২ ভাগ মানুষের ধর্মীয় চেতনাকে উপেক্ষা করলে খোদ গণতন্ত্র ও রাজনীতিও ব্যর্থ হতে পারে। দেশের ও দেশের মানুষের প্রকৃত কল্যাণে কোন নতুন বিকল্পকেই মানুষ স্বাগত জানাবে। গণতন্ত্রের মোড়কে স্বৈরতন্ত্র জনগণের ক্ষমতার নামে প্রচ্ছন্ন রাজতন্ত্র, সাংবিধানিক অনুশীলন ও অপরাজনীতির বিরুদ্ধে মানুষ রুখে দাঁড়াতে প্রস্তুত। জাতীয় মুক্তি ও অগ্রযাত্রার যে কোন সময়োপযোগী আহবানের সাথে জনগণের পাশে হেফাজতও থাকবে। কাউকে ক্ষমতায় বসানো বা ক্ষমতা থেকে নামানো হেফাজতের কাজ নয়। হেফাজত অরাজনৈতিক আন্দোলনের মাধ্যমে জাতীয় ভাবধারার প্রতিফলন সর্বত্র দেখতে চায়। জাতীয় রাজনীতিও এর বাইরে নয়।