মাহমুদুর রহমানকে আমি অনেক আগে থেকেই চিনি ও জানি। তিনি যখন সিরামিক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তখন থেকেই ব্যক্তিগতভাবে তার সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। পরে আমি তাকে বিনিয়োগ বোর্ডের নির্বাহী চেয়ারম্যান ও সরকারের একজন উপদেষ্টা হিসেবে দেখেছি। প্রতিটি ক্ষেত্রেই তিনি সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। সংবিধানবহির্ভূত ওয়ান-ইলেভেনের অদ্ভুত সরকার জাতির ঘাড়ে চেপে বসার সঙ্গে সঙ্গে দেশের দুই প্রধান রাজনৈতিক
দলের শীর্ষ দুই নেত্রীসহ রাজনীতিবিদদের যখন মিথ্যা ও সাজানো মামলায় গ্রেফতার করে কারাগারে বন্দি করা হচ্ছিল, তখন মাহমুদুর রহমান তীব্র ভাষায় এর প্রতিবাদ করে কলাম লিখে সত্সাহসের পরিচয় দিয়েছেন। জরুরি অবস্থার সরকারের সময় জনগণের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন ও রাজনীতিবিদদের হেনস্থা করার বিরুদ্ধে হাতেগোনা যে দু’-একজন বিশিষ্ট
নাগরিক টিভি টকশো ও পত্রপত্রিকায় লেখনীর মাধ্যমে বলিষ্ঠ প্রতিবাদ করেছেন, তাদের মধ্যে মাহমুদুর রহমান অন্যতম। তার আপসহীন ভূমিকা ওই সময় জরুরি অবস্থার সরকারের অন্যায় ও অগণতান্ত্রিক আচরণের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে সোচ্চার করে তুলেছে।
তথাকথিত ওয়ান-ইলেভেনের ঘটনার পরই মাহমুদুর রহমানের সঙ্গে আমার একটি ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ওই সময় কারাবন্দি রাজনীতিবিদদের আইনি সহায়তা দিতে গিয়ে সরকারের অনেক বেআইনি কর্মকাণ্ড লক্ষ্য করেছি। আমি নিজেও এগুলো মিডিয়ায় প্রকাশ করার সুযোগ পাইনি কিংবা সাহস করিনি। ওইসব বেআইনি কর্মকাণ্ডের বিবরণ আমি মাহমুদুর রহমানকে জানাতাম। তিনি সেগুলো টিভি টকশো ও পত্রিকায় কলাম লিখে প্রকাশ করতেন। ওয়ান-ইলেভেনের সরকারের বেআইনি কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে এভাবেই একটি জনমত গড়ে ওঠে। রাজনৈতিক সচেতন ও অসাধারণ ব্যক্তিত্বের অধিকারী মাহমুদুর রহমানকে অসাংবিধানিক ওয়ান-ইলেভেনের সরকার গ্রেফতার করলে আমি অবাক হতাম না। কিন্তু বর্তমানে একটি রাজনৈতিক সরকারের সময়ে মাহমুদুর রহমানকে বারবার গ্রেফতার করে ভিত্তিহীন ও হাস্যকর কতগুলো মামলা দিয়ে কারাগারে আটক রাখা হচ্ছে। আমার কাছে এটিই সবচেয়ে অবাক লাগছে। অথচ আমার যতটুকু মনে পড়ে, জরুরি অবস্থার সরকারের সময় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রীসহ শীর্ষস্থানীয় রাজনীতিবিদদের অন্যায়ভাবে আটকের পর মাহমুদুর রহমানই প্রথম প্রতিবাদ করে কলাম লিখেছেন। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস—মাহমুদুর রহমান আজ নিজেই একইভাবে কারাবন্দি হয়েছেন। তার ব্যাপারে বর্তমান সরকারের কাছ থেকে এ ধরনের আচরণ আশা করিনি। একটি গণতান্ত্রিক দেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতা নাগরিকদের সাংবিধানিক অধিকার। গঠনমূলক সমালোচনা সরকারের জন্য ইতিবাচকও বটে। সরকারের ভুল-ত্রুটি তুলে ধরে গণমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট সরকারকে জনকল্যাণে কাজ করতে সহায়তাও করে। এটি একটি ঐতিহাসিক সত্য।
বেআইনিভাবে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করা যায় না—উচ্চ আদালতের রায়ের মাধ্যমে এটি প্রমাণ হয়েছে। প্রথম দফা ২০১০ সালে আমার দেশ বন্ধ করা হলে আপিল বিভাগের আদেশে দৈনিক আমার দেশ পত্রিকাটি আবার প্রকাশিত হয়। এবছর এপ্রিল মাসে সরকার আবার মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতার করে তার ওপর নির্যাতন চালিয়েছে এবং আমার দেশ-এর প্রেসে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। আমি মাহমুদুর রহমানের মুক্তি কামনা করছি। এ জাতির জন্য তার মতো একজন সত্, সাহসী ও প্রতিভাধর ব্যক্তির বড় প্রয়োজন রয়েছে।
দলের শীর্ষ দুই নেত্রীসহ রাজনীতিবিদদের যখন মিথ্যা ও সাজানো মামলায় গ্রেফতার করে কারাগারে বন্দি করা হচ্ছিল, তখন মাহমুদুর রহমান তীব্র ভাষায় এর প্রতিবাদ করে কলাম লিখে সত্সাহসের পরিচয় দিয়েছেন। জরুরি অবস্থার সরকারের সময় জনগণের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন ও রাজনীতিবিদদের হেনস্থা করার বিরুদ্ধে হাতেগোনা যে দু’-একজন বিশিষ্ট
নাগরিক টিভি টকশো ও পত্রপত্রিকায় লেখনীর মাধ্যমে বলিষ্ঠ প্রতিবাদ করেছেন, তাদের মধ্যে মাহমুদুর রহমান অন্যতম। তার আপসহীন ভূমিকা ওই সময় জরুরি অবস্থার সরকারের অন্যায় ও অগণতান্ত্রিক আচরণের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে সোচ্চার করে তুলেছে।
তথাকথিত ওয়ান-ইলেভেনের ঘটনার পরই মাহমুদুর রহমানের সঙ্গে আমার একটি ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ওই সময় কারাবন্দি রাজনীতিবিদদের আইনি সহায়তা দিতে গিয়ে সরকারের অনেক বেআইনি কর্মকাণ্ড লক্ষ্য করেছি। আমি নিজেও এগুলো মিডিয়ায় প্রকাশ করার সুযোগ পাইনি কিংবা সাহস করিনি। ওইসব বেআইনি কর্মকাণ্ডের বিবরণ আমি মাহমুদুর রহমানকে জানাতাম। তিনি সেগুলো টিভি টকশো ও পত্রিকায় কলাম লিখে প্রকাশ করতেন। ওয়ান-ইলেভেনের সরকারের বেআইনি কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে এভাবেই একটি জনমত গড়ে ওঠে। রাজনৈতিক সচেতন ও অসাধারণ ব্যক্তিত্বের অধিকারী মাহমুদুর রহমানকে অসাংবিধানিক ওয়ান-ইলেভেনের সরকার গ্রেফতার করলে আমি অবাক হতাম না। কিন্তু বর্তমানে একটি রাজনৈতিক সরকারের সময়ে মাহমুদুর রহমানকে বারবার গ্রেফতার করে ভিত্তিহীন ও হাস্যকর কতগুলো মামলা দিয়ে কারাগারে আটক রাখা হচ্ছে। আমার কাছে এটিই সবচেয়ে অবাক লাগছে। অথচ আমার যতটুকু মনে পড়ে, জরুরি অবস্থার সরকারের সময় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রীসহ শীর্ষস্থানীয় রাজনীতিবিদদের অন্যায়ভাবে আটকের পর মাহমুদুর রহমানই প্রথম প্রতিবাদ করে কলাম লিখেছেন। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস—মাহমুদুর রহমান আজ নিজেই একইভাবে কারাবন্দি হয়েছেন। তার ব্যাপারে বর্তমান সরকারের কাছ থেকে এ ধরনের আচরণ আশা করিনি। একটি গণতান্ত্রিক দেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতা নাগরিকদের সাংবিধানিক অধিকার। গঠনমূলক সমালোচনা সরকারের জন্য ইতিবাচকও বটে। সরকারের ভুল-ত্রুটি তুলে ধরে গণমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট সরকারকে জনকল্যাণে কাজ করতে সহায়তাও করে। এটি একটি ঐতিহাসিক সত্য।
বেআইনিভাবে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করা যায় না—উচ্চ আদালতের রায়ের মাধ্যমে এটি প্রমাণ হয়েছে। প্রথম দফা ২০১০ সালে আমার দেশ বন্ধ করা হলে আপিল বিভাগের আদেশে দৈনিক আমার দেশ পত্রিকাটি আবার প্রকাশিত হয়। এবছর এপ্রিল মাসে সরকার আবার মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতার করে তার ওপর নির্যাতন চালিয়েছে এবং আমার দেশ-এর প্রেসে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। আমি মাহমুদুর রহমানের মুক্তি কামনা করছি। এ জাতির জন্য তার মতো একজন সত্, সাহসী ও প্রতিভাধর ব্যক্তির বড় প্রয়োজন রয়েছে।