বিচার বিভাগী তদন্ত কমিশন গঠন করলে গত ৫ ও ৬ মে হেফাজতে ইসলামের নিহত কর্মীদের তালিকা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির আমির বরেণ্য আলেম আল্লামা শাহ আহমদ শফী।
চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদরাসায় গতকাল পূর্বঘোষিত দোয়া দিবসের আলোচনায়
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। দিকে গত ৫ মে’র রাতে শাপলা চত্বরের ঘটনার বিচারে ট্রাইব্যুনাল গঠন করে প্রকৃত অপরাধীদের বিচার করার দাবি জানিয়েছেন
হেফাজতে ইসলাম ঢাকা মহানগরের নেতারা। একই সঙ্গে যারা নিহত হয়েছেন তাদের পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।
হেফাজতে ইসলামের ঘোষিত দেশব্যাপী দোয়া দিবসের অংশ হিসেবে গতকাল বাদ জুমা সংগঠনের লালবাগের কার্যালয়ে আলোচনা সভায় নেতারা এই দাবি জানান।
হেফাজতের নেতারা বলেন, হেফাজতে ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফীর নেতৃত্বে মুসলমানদের ঈমান-আকিদা ও মর্যাদা রক্ষায় ১৩ দফা দাবিতে অহিংস আন্দোলন করে যাচ্ছে। কিন্তু বর্তমান সরকার পরিকল্পিতভাবে আল্লামা শফী ও ১৩ দফা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।
শাপলা চত্বরের ঘটনায় যারা আহত হয়েছে তাদের সুচিকিত্সা ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা এবং দেশের শীর্ষস্থানীয় সব আলেম-উলামা, ইমাম-খতিব ও দ্বীনদার মানুষের বিরুদ্ধে সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে করার দাবি জানান।
হেফাজতে ইসলামকে বাংলাদেশের একটি সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে মন্তব্য করে হেফাজতের নেতারা বলেন, কিন্তু সরকারি ফাঁদে পা দিয়ে একশ্রেণীর মিডিয়া হেফাজতকে রাজনীতিতে জড়িয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে।
বক্তারা জানান, কেন্দ্র ঘোষিত শুক্রবারের দোয়া দিবস পালনের মাধ্যমে হেফাজত ফের স্বরূপে আবির্ভূত হয়েছে। অচিরেই আল্লামা শাহ আহমদ শফী হাটহাজারী মাদরাসায় উলামা সম্মেলনের মাধ্যমে পরবর্তী কর্মসূচির ঘোষণা দেবেন বলে জানানো হয়।
ঢাকা মহানগর যুগ্ম আহ্বায়ক মুফতি মুহাম্মদ তৈয়্যব হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী, হেফাজতে ইসলাম আইন সেলের প্রধান মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন, সদস্য মাওলানা যুবায়ের আহমদ, সদস্য মাওলানা গাজী ইয়াকুব, সহকারী প্রচার সম্পাদক মাওলানা আলতাফ হোসাইন, ঢাকা মহানগর দফতর সম্পাদক রিয়াজাতুল্লাহ, সহকারী দফতর সম্পাদক মাওলানা আব্দুল আজিজ, মাওলানা আনছারুল হক ইমরান প্রমুখ।
কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি হিসেবে গতকাল লালবাগ কার্যালয়ে খতমে কোরআন, খতমে জালালী, খতমে বুখারী, খতমে ইউনুসের আয়োজন করা হয়। সভা শেষে দোয়া পরিচালনা করেন ঢাকা মহানগর যুগ্ম আহ্বায়ক ও বড় কাটারা মাদরাসার প্রিন্সিপাল মুফতি মুহাম্মদ তৈয়্যব হোসাইন।
বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠন করলে শহীদদের তালিকা প্রকাশ করব—আল্লামা শফী : হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি জানান, শর্ত সাপেক্ষে ৫ মে ঢাকার শাপলা চত্বরে নিহত শহীদদের নামের তালিকা প্রকাশ করবে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। এই জন্য সরকারকে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করতে হবে বলে জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী।
তিনি গতকাল বাদ আসর দেশব্যাপী পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে চট্টগ্রামের দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসা মসজিদে এক দোয়া মাহফিলে এ কথা বলেন।
‘যারাই হেফাজতের ৫ মে’র ঘটনা নিয়ে কথা বলছে তাদের বাকরুদ্ধ করার চেষ্টা করছে সরকার’ মন্তব্য করে হেফাজতের আমির আরও বলেন, বর্তমান সময়ে হেফাজত ও শাপলা চত্বরের ঘটনা নিয়ে সারাদেশে হেফাজতের নেতাকর্মীকে সরকার যেভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে বিভিন্ন রকমের হয়রানি করছে; এ জন্য ৫ মে শহীদদের তালিকা শুধু বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনের হাতেই দেয়া হবে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন মাওলানা শামসুল আলম, মাওলানা মঈনুউদ্দিন রুহি, মাওলানা ফোরকান, মাওলানা আহম্মদ দিদার, মাওলানা ওমর, মাওলানা আনাস মাদানী, মাওলানা মীর ইদ্রিস, মাওলানা শফিউল আলম, মাওলানা জাফর, মাওলানা মোজাম্মেল হক, মাওলানা জাকারিয়া নোমান ফয়েজী, মাওলানা লোকমান প্রমুখ।
গতকাল দোয়া দিবসে শরিক হওয়ার জন্য হাটহাজারী উপজেলাসহ পার্শ্ববর্তী উপজেলা থেকে হাজার হাজার তৌহিদি মানুষ মসজিদে সমবেত হন।
দোয়া মাহফিলে তৌহিদি জনতা শহীদদের মর্যাদা রক্ষা, আহতদের সুস্থতা কামনা, দেশে শান্তিশৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতা কামনা, যাবতীয় অন্যায়-অনাচার-পাপাচার থেকে মুসলমানরা যাতে মুক্ত থাকতে পারে এবং গণহত্যায় নেতৃত্বদানকারী সব জালেমদের শাস্তির জন্য মহান আল্লাহর দরবারে অশ্রুসিক্ত কণ্ঠে মোনাজাতে অংশ নেন। এ সময় আমিন আমিন ধ্বনিতে মসজিদে কান্নার রোল পড়ে।
এদিকে হেফাজতের ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী ঘোষিত সারাদেশে দোয়া দিবসের অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম মহানগরীর উদ্যোগে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল গতকাল নগরীর লালখান বাজার জামেয়াতুল উলুম মাদরাসা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি হাফেজ মাওলানা তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি ও হেফাজতের নায়েবে আমির আল্লামা মুফতি ইজহারুল ইসলাম চৌধুরী।
মাহফিলে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন মাওলানা সরওয়ার কামাল আজিজি, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মুফতি হারুন ইজহার, মাওলানা নুরুল হক, মাওলানা হাফেজ ফয়সাল, মাওলানা আনোয়ার হোসেন রব্বানী, মাওলানা ইকবাল খলিল, মাওলানা শিবলী নোমানী, মাওলানা আবু রায়হান, মাওলানা জাহাঙ্গীর, মাওলানা মোহাম্মাদুল্লাহ প্রমুখ।
আলোচানা শেষে মহান আল্লাহর দরবারে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন মহানগর সভাপতি মাওলানা হাফেজ তাজুল ইসলাম ফিরোজ শাহ।
আল্লামা শফীর আন্দোলনের ডাকের অপেক্ষায় সিলেটবাসী : সিলেট অফিস জানায়, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সারাদেশে দোয়া দিবস উপলক্ষে গতকাল বাদ জুমা সিলেট নগরীর কালেক্টরেট জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে মহানগর হেফাজতে ইসলামের দোয়া মাহফিলে বক্তারা বলেছেন, আল্লামা শাহ আহমদ শফীর ১৩ দফা দাবি বাস্তবায়ন আন্দোলনের ডাকের অপেক্ষায় রয়েছে সিলেটবাসী।
দোয়া মাহফিল-পূর্ব আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশে আলিম ওলামারা নির্যাতিত হবে আর আমরা ঘরে বসে তসবিহ তাহলিল করব—এটা কোনোমতেই হতে পারে না। এজন্য দেশের সর্বসাধারণকে নিয়ে আল্লামা আহমদ শফী ঘোষিত ১৩ দফা দাবি বাস্তবায়ন করে ছাড়ব।
বক্তারা বলেন, আওয়ামী শেখ হাসিনা সরকারের জুলুম নির্যাতন, হত্যা, গুম এবং ইসলামবিরোধী নাস্তিকতাবাদী কার্যক্রমে দেশের মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় অশান্তিতে জীবনযাপন করছে। ইসলাম, গণতন্ত্র ও মানবতার গলা টিপে শেখ হাসিনা দেশে বাকশালী স্বৈরশাসন চালাতে চান। আহমদ শফীর বিরুদ্ধে মিথ্যাচার, কুত্সা রটনা করে বাংলার জমিনে ইসলামের আওয়াজকে স্তব্ধ করে দিতে চান। আগামী নির্বাচনে বিপুল পরাজয়ের ভয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হেফাজতে ইসলামকে নির্মূল করতে চান। কিন্তু বাংলার জমিনে সে স্বাদ পূর্ণ হবে না।
সিলেট মহানগর সেক্রেটারি মুফতি ফয়জুল হক জালালাবাদীর পরিচালনায় দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন সিলেট মহানগর হেফাজতে ইসলামের সিনিয়র সহ-সভাপতি, জিন্দাবাজার বায়তুল আমান জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব শায়খুল হাদীস মাওলানা আবদুল মতিন ধনপুরী, সহ-সভাপতি মাওলানা শাহ আশরাফ আলী মিয়াজানী, প্রিন্সিপাল মাওলানা নাসির উদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদক মাওলানা আছলাম রহমানী, মুহাদ্দিস মাওলানা মাসুক আহমদ সালামী, মাওলানা আবদুল ওয়াহিদ চৌধুরী, প্রিন্সিপাল মাওলানা মাহমুদুল হাসান, মাওলানা আবদুল মালিক চৌধুরী, মাওলানা হাফিজ খলিলুর রহমান, মাওলানা হাফিজ আবদুর রহমান সিদ্দিকী, মাওলানা নজরুল ইসলাম শিকদার, মাওলানা আবদুল মতিন নবীগঞ্জী, মাওলানা আসরারুল হক, হাফিজ একরামুল আজিজ, মাওলানা হাবিব আহমদ শিহাব, মাওলানা আছলাম রহমানী, মাওলানা আলী নূর, মাওলানা নজরুল ইসলাম, বৃহত্তর শিবগঞ্জ হেফাজতের সেক্রেটারি মাওলানা সালেহ আহমদ শাহবাগী, মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, মাওলানা ইসহাক আমিনী ছাহেবজাদা শায়খে কাতিয়া, মাওলানা নূর আহমদ কাসিমী, মাওলানা মুখতার আহমদ, মাওলানা ফারুক আহমদ, মাওলানা সাইফুর রহমান, মাওলানা আবদুল ওয়াহিদ, মাওলানা আফজল হোসেন খান, মাওলানা সালিক আহমদ, মুহাম্মদ নজমুল হক, মাওলানা তৈয়্যিবুর রহমান চৌধুরী, মাওলানা তোফায়েল আহমদ উসমানী, মাওলানা নিয়ামত উল্লাহ খাসদবিরী, কস্ফারি রইছ উদ্দিন, মাওলানা সৈয়দ ছালিম কাসিমী, মাওলানা সৈয়দ হাসান আহমদ, এম বেলাল আহমদ, হাফিজ শাহিদ হাতিমী, হাফিজ খালেদ ছয়ফুল্যাহ চৌধুরী মুন্না, ময়নুল ইসলাম মামুন, আরিফ রব্বানী, আবদুল করিম দিলদার, মাওলানা আবদুল রহিম, আক্তারুজ্জামান, মাওলানা আবদুস সামাদ, মাওলানা আশিকুর রহমান, মাওলানা সদরুল আমিন, মাওলানা সালমান আহমদ, মুহাম্মদ ইব্রাহিম জাহেদ, মাওলানা নওফল আহমদ, মাওলানা জহুরুল হক, মাওলানা মাহমুদ হোসাইন, মাওলানা মতিউর রহমান, মাওলানা ইমরান আহমদ, মইনুল ইসলাম আশরাফ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে ৫ মে শাপলা চত্বর গণহত্যায় শহীদদের রুহের মাগফিরত কামনা করে মোনাজাত পরিচালনা করেন মহানগর হেফাজতের সিনিয়র সহ-সভাপতি শায়খুল হাদিস মাওলানা আবদুল মতিন ধনপুরী। দোয়া মাহফিলে আলেম-ওলামাসহ সর্বস্তরের মানুষ অংশ নেয়।
চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদরাসায় গতকাল পূর্বঘোষিত দোয়া দিবসের আলোচনায়
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। দিকে গত ৫ মে’র রাতে শাপলা চত্বরের ঘটনার বিচারে ট্রাইব্যুনাল গঠন করে প্রকৃত অপরাধীদের বিচার করার দাবি জানিয়েছেন
হেফাজতে ইসলাম ঢাকা মহানগরের নেতারা। একই সঙ্গে যারা নিহত হয়েছেন তাদের পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।
হেফাজতে ইসলামের ঘোষিত দেশব্যাপী দোয়া দিবসের অংশ হিসেবে গতকাল বাদ জুমা সংগঠনের লালবাগের কার্যালয়ে আলোচনা সভায় নেতারা এই দাবি জানান।
হেফাজতের নেতারা বলেন, হেফাজতে ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফীর নেতৃত্বে মুসলমানদের ঈমান-আকিদা ও মর্যাদা রক্ষায় ১৩ দফা দাবিতে অহিংস আন্দোলন করে যাচ্ছে। কিন্তু বর্তমান সরকার পরিকল্পিতভাবে আল্লামা শফী ও ১৩ দফা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।
শাপলা চত্বরের ঘটনায় যারা আহত হয়েছে তাদের সুচিকিত্সা ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা এবং দেশের শীর্ষস্থানীয় সব আলেম-উলামা, ইমাম-খতিব ও দ্বীনদার মানুষের বিরুদ্ধে সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে করার দাবি জানান।
হেফাজতে ইসলামকে বাংলাদেশের একটি সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে মন্তব্য করে হেফাজতের নেতারা বলেন, কিন্তু সরকারি ফাঁদে পা দিয়ে একশ্রেণীর মিডিয়া হেফাজতকে রাজনীতিতে জড়িয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে।
বক্তারা জানান, কেন্দ্র ঘোষিত শুক্রবারের দোয়া দিবস পালনের মাধ্যমে হেফাজত ফের স্বরূপে আবির্ভূত হয়েছে। অচিরেই আল্লামা শাহ আহমদ শফী হাটহাজারী মাদরাসায় উলামা সম্মেলনের মাধ্যমে পরবর্তী কর্মসূচির ঘোষণা দেবেন বলে জানানো হয়।
ঢাকা মহানগর যুগ্ম আহ্বায়ক মুফতি মুহাম্মদ তৈয়্যব হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী, হেফাজতে ইসলাম আইন সেলের প্রধান মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন, সদস্য মাওলানা যুবায়ের আহমদ, সদস্য মাওলানা গাজী ইয়াকুব, সহকারী প্রচার সম্পাদক মাওলানা আলতাফ হোসাইন, ঢাকা মহানগর দফতর সম্পাদক রিয়াজাতুল্লাহ, সহকারী দফতর সম্পাদক মাওলানা আব্দুল আজিজ, মাওলানা আনছারুল হক ইমরান প্রমুখ।
কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি হিসেবে গতকাল লালবাগ কার্যালয়ে খতমে কোরআন, খতমে জালালী, খতমে বুখারী, খতমে ইউনুসের আয়োজন করা হয়। সভা শেষে দোয়া পরিচালনা করেন ঢাকা মহানগর যুগ্ম আহ্বায়ক ও বড় কাটারা মাদরাসার প্রিন্সিপাল মুফতি মুহাম্মদ তৈয়্যব হোসাইন।
বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠন করলে শহীদদের তালিকা প্রকাশ করব—আল্লামা শফী : হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি জানান, শর্ত সাপেক্ষে ৫ মে ঢাকার শাপলা চত্বরে নিহত শহীদদের নামের তালিকা প্রকাশ করবে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। এই জন্য সরকারকে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করতে হবে বলে জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী।
তিনি গতকাল বাদ আসর দেশব্যাপী পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে চট্টগ্রামের দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসা মসজিদে এক দোয়া মাহফিলে এ কথা বলেন।
‘যারাই হেফাজতের ৫ মে’র ঘটনা নিয়ে কথা বলছে তাদের বাকরুদ্ধ করার চেষ্টা করছে সরকার’ মন্তব্য করে হেফাজতের আমির আরও বলেন, বর্তমান সময়ে হেফাজত ও শাপলা চত্বরের ঘটনা নিয়ে সারাদেশে হেফাজতের নেতাকর্মীকে সরকার যেভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে বিভিন্ন রকমের হয়রানি করছে; এ জন্য ৫ মে শহীদদের তালিকা শুধু বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনের হাতেই দেয়া হবে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন মাওলানা শামসুল আলম, মাওলানা মঈনুউদ্দিন রুহি, মাওলানা ফোরকান, মাওলানা আহম্মদ দিদার, মাওলানা ওমর, মাওলানা আনাস মাদানী, মাওলানা মীর ইদ্রিস, মাওলানা শফিউল আলম, মাওলানা জাফর, মাওলানা মোজাম্মেল হক, মাওলানা জাকারিয়া নোমান ফয়েজী, মাওলানা লোকমান প্রমুখ।
গতকাল দোয়া দিবসে শরিক হওয়ার জন্য হাটহাজারী উপজেলাসহ পার্শ্ববর্তী উপজেলা থেকে হাজার হাজার তৌহিদি মানুষ মসজিদে সমবেত হন।
দোয়া মাহফিলে তৌহিদি জনতা শহীদদের মর্যাদা রক্ষা, আহতদের সুস্থতা কামনা, দেশে শান্তিশৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতা কামনা, যাবতীয় অন্যায়-অনাচার-পাপাচার থেকে মুসলমানরা যাতে মুক্ত থাকতে পারে এবং গণহত্যায় নেতৃত্বদানকারী সব জালেমদের শাস্তির জন্য মহান আল্লাহর দরবারে অশ্রুসিক্ত কণ্ঠে মোনাজাতে অংশ নেন। এ সময় আমিন আমিন ধ্বনিতে মসজিদে কান্নার রোল পড়ে।
এদিকে হেফাজতের ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী ঘোষিত সারাদেশে দোয়া দিবসের অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম মহানগরীর উদ্যোগে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল গতকাল নগরীর লালখান বাজার জামেয়াতুল উলুম মাদরাসা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি হাফেজ মাওলানা তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি ও হেফাজতের নায়েবে আমির আল্লামা মুফতি ইজহারুল ইসলাম চৌধুরী।
মাহফিলে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন মাওলানা সরওয়ার কামাল আজিজি, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মুফতি হারুন ইজহার, মাওলানা নুরুল হক, মাওলানা হাফেজ ফয়সাল, মাওলানা আনোয়ার হোসেন রব্বানী, মাওলানা ইকবাল খলিল, মাওলানা শিবলী নোমানী, মাওলানা আবু রায়হান, মাওলানা জাহাঙ্গীর, মাওলানা মোহাম্মাদুল্লাহ প্রমুখ।
আলোচানা শেষে মহান আল্লাহর দরবারে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন মহানগর সভাপতি মাওলানা হাফেজ তাজুল ইসলাম ফিরোজ শাহ।
আল্লামা শফীর আন্দোলনের ডাকের অপেক্ষায় সিলেটবাসী : সিলেট অফিস জানায়, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সারাদেশে দোয়া দিবস উপলক্ষে গতকাল বাদ জুমা সিলেট নগরীর কালেক্টরেট জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে মহানগর হেফাজতে ইসলামের দোয়া মাহফিলে বক্তারা বলেছেন, আল্লামা শাহ আহমদ শফীর ১৩ দফা দাবি বাস্তবায়ন আন্দোলনের ডাকের অপেক্ষায় রয়েছে সিলেটবাসী।
দোয়া মাহফিল-পূর্ব আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশে আলিম ওলামারা নির্যাতিত হবে আর আমরা ঘরে বসে তসবিহ তাহলিল করব—এটা কোনোমতেই হতে পারে না। এজন্য দেশের সর্বসাধারণকে নিয়ে আল্লামা আহমদ শফী ঘোষিত ১৩ দফা দাবি বাস্তবায়ন করে ছাড়ব।
বক্তারা বলেন, আওয়ামী শেখ হাসিনা সরকারের জুলুম নির্যাতন, হত্যা, গুম এবং ইসলামবিরোধী নাস্তিকতাবাদী কার্যক্রমে দেশের মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় অশান্তিতে জীবনযাপন করছে। ইসলাম, গণতন্ত্র ও মানবতার গলা টিপে শেখ হাসিনা দেশে বাকশালী স্বৈরশাসন চালাতে চান। আহমদ শফীর বিরুদ্ধে মিথ্যাচার, কুত্সা রটনা করে বাংলার জমিনে ইসলামের আওয়াজকে স্তব্ধ করে দিতে চান। আগামী নির্বাচনে বিপুল পরাজয়ের ভয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হেফাজতে ইসলামকে নির্মূল করতে চান। কিন্তু বাংলার জমিনে সে স্বাদ পূর্ণ হবে না।
সিলেট মহানগর সেক্রেটারি মুফতি ফয়জুল হক জালালাবাদীর পরিচালনায় দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন সিলেট মহানগর হেফাজতে ইসলামের সিনিয়র সহ-সভাপতি, জিন্দাবাজার বায়তুল আমান জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব শায়খুল হাদীস মাওলানা আবদুল মতিন ধনপুরী, সহ-সভাপতি মাওলানা শাহ আশরাফ আলী মিয়াজানী, প্রিন্সিপাল মাওলানা নাসির উদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদক মাওলানা আছলাম রহমানী, মুহাদ্দিস মাওলানা মাসুক আহমদ সালামী, মাওলানা আবদুল ওয়াহিদ চৌধুরী, প্রিন্সিপাল মাওলানা মাহমুদুল হাসান, মাওলানা আবদুল মালিক চৌধুরী, মাওলানা হাফিজ খলিলুর রহমান, মাওলানা হাফিজ আবদুর রহমান সিদ্দিকী, মাওলানা নজরুল ইসলাম শিকদার, মাওলানা আবদুল মতিন নবীগঞ্জী, মাওলানা আসরারুল হক, হাফিজ একরামুল আজিজ, মাওলানা হাবিব আহমদ শিহাব, মাওলানা আছলাম রহমানী, মাওলানা আলী নূর, মাওলানা নজরুল ইসলাম, বৃহত্তর শিবগঞ্জ হেফাজতের সেক্রেটারি মাওলানা সালেহ আহমদ শাহবাগী, মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, মাওলানা ইসহাক আমিনী ছাহেবজাদা শায়খে কাতিয়া, মাওলানা নূর আহমদ কাসিমী, মাওলানা মুখতার আহমদ, মাওলানা ফারুক আহমদ, মাওলানা সাইফুর রহমান, মাওলানা আবদুল ওয়াহিদ, মাওলানা আফজল হোসেন খান, মাওলানা সালিক আহমদ, মুহাম্মদ নজমুল হক, মাওলানা তৈয়্যিবুর রহমান চৌধুরী, মাওলানা তোফায়েল আহমদ উসমানী, মাওলানা নিয়ামত উল্লাহ খাসদবিরী, কস্ফারি রইছ উদ্দিন, মাওলানা সৈয়দ ছালিম কাসিমী, মাওলানা সৈয়দ হাসান আহমদ, এম বেলাল আহমদ, হাফিজ শাহিদ হাতিমী, হাফিজ খালেদ ছয়ফুল্যাহ চৌধুরী মুন্না, ময়নুল ইসলাম মামুন, আরিফ রব্বানী, আবদুল করিম দিলদার, মাওলানা আবদুল রহিম, আক্তারুজ্জামান, মাওলানা আবদুস সামাদ, মাওলানা আশিকুর রহমান, মাওলানা সদরুল আমিন, মাওলানা সালমান আহমদ, মুহাম্মদ ইব্রাহিম জাহেদ, মাওলানা নওফল আহমদ, মাওলানা জহুরুল হক, মাওলানা মাহমুদ হোসাইন, মাওলানা মতিউর রহমান, মাওলানা ইমরান আহমদ, মইনুল ইসলাম আশরাফ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে ৫ মে শাপলা চত্বর গণহত্যায় শহীদদের রুহের মাগফিরত কামনা করে মোনাজাত পরিচালনা করেন মহানগর হেফাজতের সিনিয়র সহ-সভাপতি শায়খুল হাদিস মাওলানা আবদুল মতিন ধনপুরী। দোয়া মাহফিলে আলেম-ওলামাসহ সর্বস্তরের মানুষ অংশ নেয়।