নিজ গ্রামে প্রথম সংবর্ধনায় জুনায়েদ বাবুনগরী

ফটিকছড়ির নিজ গ্রামে সংবর্ধনায় বক্তব্য দিচ্ছেন হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরী
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ-এর মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেছেন, আমি প্রধানমন্ত্রিত্ব চাই না। কাউকে ক্ষমতার মসনদে বসাতে কিংবা বসতে দল করি না। হেফাজতি শক্তিকে আল্লাহ যে মসনদে বসিয়েছে তার দাম শেখ হাসিনার গদির চেয়ে কোটি গুণ বেশি। দেশের বর্তমান পরিস্থিতি উদ্ভূত, নৈরাজ্যকর ও হিংসাত্মক উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে দ্বীনের পতাকাবাহী সংগঠন হেফাজতে ইসলামের বিকল্প নেই। তিনি দেশকে জালেমদের হাত থেকে রক্ষায় মোমিনদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। কারাগার থেকে ছাড়া পেয়ে চিকিৎসা শেষে গত বৃহস্পতিবার রাতে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার নিজ গ্রাম বাবুনগরে প্রথম সংবর্ধনায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন। বাবুনগর মাদরাসা কর্তৃপক্ষ সংবর্ধনার আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ও মাদরাসার পরিচালক মাওলানা শাহ মুহিবুল্লাহ।
এতে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ঐ মাদরাসার মুহাদ্দিস মাওলানা হাফেজ হাবিব উল্লাহ। তিনি আরো বলেন, আমি কারো পক্ষে-বিপক্ষে বলি না। তবে ইসলামের পক্ষে বলতে গিয়ে যদি কারো মনে আগুন জ্বলে, সেজন্য হেফাজত দায়ী নয়। হেফাজতের সাংগঠনিক কর্মকা- স্থগিত হয়নি, বরং আরো বেশি জোরদার হয়েছে। জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, তিনি গ্রেফতারকৃত হেফাজতের নেতা-কর্মীদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি করেন। বাবুনগরী দাবি করেন, রিমান্ডে থাকাকালীন কিছু মিডিয়া তার বক্তব্যকে বিকৃতভাবে পরিবেশন করেছে। তিনি সময় সুযোগে এসবের জবাব দেবেন বলে জানান। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, মাদরাসার সহকারী পরিচালক মাওলানা আইয়ুব বাবুনগরী, মাওলানা আবুল কালাম, মাওলানা সেলিম, মুফতি হাবিব উল্লাহ, মাওলানা মীর ইদ্রিস, মাওলানা নাছির উদ্দিন মুনির, মাওলানা জালাল। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন আবু মাকনুন মোহাম্মদ বাবুনগরী। এর আগে জুনায়েদ চট্টগ্রাম নগরের বেসরকারি সেবাদান কেন্দ্র (সিএসসিআর) থেকে সরাসরি চলে আসেন নিজ চাকরিস্থল হাটহাজারী মাদরাসায়। এশার নামায শেষে তিনি রাত সাড়ে ১১টায় ফটিকছড়ির নিজ গ্রামে সংবর্ধনায় যোগ দেন। এ সময় হেফাজত সমর্থিত কর্মীদের শতাধিক মোটর শোভাযাত্রা তার সাথে অংশ নেয়।
উল্লেখ্য, গত ৫ মে হেফাজতের তা-বের পরদিন তিনি ঢাকায় গ্রেফতার হন। দ্বিতীয় দফা রিমান্ড শেষে ৩০ মে তিনি জামিনে মুক্তি পান। গুরুতর অসুস্থতার কারণে প্রথমে ঢাকার বারডেম ও পরে চট্টগ্রাম নগরের সিএসসিআরে তাকে ভর্তি করা হয়।