আল্লামা শফীর বিবৃতি : মাহমুদুর রহমানের মুক্তি ও আমার দেশ প্রেস খুলে দেয়ার দাবি
হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

দৈনিক আমার দেশ-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের রিমান্ড বাতিল করে তাকে মুক্তি এবং পত্রিকাটির ছাপাখানা খুলে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের আমির ও দারুল উলুম হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক বরেণ্য আলেম আল্লামা শাহ আহমদ শফী। গতকাল এক বিবৃতিতে তিনি এ দাবি জানান।
মাহমুদুর রহমানকে নতুন করে তিন দিনের রিমান্ডে নেয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতিতে তিনি বলেন, মাহমুদুর রহমান কোনোভাবেই ধর্মীয় উস্কানি দেননি। নাস্তিক ব্লগারদের রাসুল (সা.) অবমাননা ও ইসলামবিদ্বেষী অপতত্পরতার খবর প্রকাশ করে তিনি কোনো বেআইনি কাজ করেছেন বলে আমি মনে করি না। সংবাদপত্রের কাজ হচ্ছে জনগণের সামনে সঠিক তথ্য তুলে ধরা। তিনি এদেশে নাস্তিকদের অপকর্মের মুখোশ উন্মোচন করে কার্যত ইসলামবিরোধী অপতত্পরতা বন্ধে জাতিকে সহযোগিতা করেছেন। নাস্তিক্যবাদীরা ব্লগে আল্লাহ, রাসুল (সা.) ও ইসলাম সম্পর্কে যেভাবে আক্রমণ করেছে, তা জাতিকে জানিয়েছেন মাত্র। এটা অন্যায় হতে পারে না। তিনি সত্য ও ন্যায়বিচারের পক্ষে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে কলমযুদ্ধ চালিয়ে গেছেন। আল্লামা শফী বলেন, অগণতান্ত্রিক আচরণ ও স্বেচ্ছাচারিতা থেকে বাধা দিয়ে দেশকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে সরকারকে সাহায্য করার জন্য যেমন দায়িত্বশীল বিরোধী দল থাকা প্রয়োজন, তেমনি স্বাধীন সংবাদপত্রের ভূমিকাও অনস্বীকার্য। আমার জানামতে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের বিভিন্ন দায়িত্বশীল মন্ত্রী স্বাধীন সংবাদপত্র ও মতপ্রকাশের ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সুতরাং সরকারের প্রতি আমি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি, মাহমুদুর রহমানকে বার বার রিমান্ডে নিয়ে মৃত্যুর মুখে ঠেলে না দিয়ে অবিলম্বে তাকে মুক্তি দেয়া হোক।
তিনি বলেন, দেশের জনপ্রিয় পত্রিকা দৈনিক আমার দেশ-এর ছাপাখানা খুলে দিয়ে পত্রিকাটি প্রকাশের সব প্রতিবন্ধকতা দূর করে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার প্রতি সরকারের অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করা হোক। কারণ, দৈনিক আমার দেশসহ বেশ কয়েকটি ভিন্নমতের মিডিয়া বন্ধ করা এবং মাহমুদুর রহমানের গ্রেফতার ও রিমান্ড এদেশের মানুষ স্বাভাবিকভাবে নেয়নি। এতে করে শত শত সংবাদকর্মী চাকরি হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। আমি মনে করি, সরকারের ভাবমর্যাদার জন্য দেশে-বিদেশে এটা বরং ক্ষতিকর হয়েছে।
অপরদিকে দৈনিক আমার দশ-এর প্রেসের তালা খুলে দেয়া ও মাহমুদুর রহমানকে মুক্তি দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন দারুল উলুম হাটহাজারী মাদরাসার প্রবীণ মুহাদ্দিস ও হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির আল্লামা হাফেজ মুহাম্মদ শামসুল আলম। বিবৃতিতে তিনি বলেন, মাহমুদুর রহমান সত্য প্রকাশে আপসহীন সাহসী এক বীর যোদ্ধা। তিনি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি আগ্রাসী যে কোনো হুমকির ব্যাপারে জনগণকে অবহিত করতে যেমন কখনও বিলম্ব করতেন না, তেমনি ইসলাম এবং মুসলমানদের দুশমন নাস্তিক্যবাদীদের ষড়যন্ত্র ও অপতত্পরতা সম্পর্কেও জাতিকে সজাগ করে প্রশংসনীয় দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
আল্লামা শামসুল আলম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যারা আল্লাহ, রাসুল (সা.), কোরআন, ইসলাম এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে জঘন্য কুত্সা রটনা করে মুসলমানদের মনে চরম আঘাত ও ক্ষোভ তৈরি করছে, সরকার তাদের গ্রেফতার ও সাজা দিতে কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে বরং উল্টো ইসলামবিদ্বেষীদের অপকর্ম উদ্ঘাটন করার অপরাধে মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতার করে নাস্তিক্যবাদের পক্ষাবলম্বন করেছে। এটা জাতির জন্য অশনি সঙ্কেত ছাড়া আর কিছুই নয়। তিনি অবিলম্বে মাহমুদুর রহমানকে মুক্তি, দৈনিক আমার দেশ-এর প্রেসের তালা খুলে দেয়াসহ ভিন্নমতের গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধের সব অপতত্পরতা বন্ধের আহ্বান জানান।
মাহমুদুর রহমানকে নতুন করে তিন দিনের রিমান্ডে নেয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতিতে তিনি বলেন, মাহমুদুর রহমান কোনোভাবেই ধর্মীয় উস্কানি দেননি। নাস্তিক ব্লগারদের রাসুল (সা.) অবমাননা ও ইসলামবিদ্বেষী অপতত্পরতার খবর প্রকাশ করে তিনি কোনো বেআইনি কাজ করেছেন বলে আমি মনে করি না। সংবাদপত্রের কাজ হচ্ছে জনগণের সামনে সঠিক তথ্য তুলে ধরা। তিনি এদেশে নাস্তিকদের অপকর্মের মুখোশ উন্মোচন করে কার্যত ইসলামবিরোধী অপতত্পরতা বন্ধে জাতিকে সহযোগিতা করেছেন। নাস্তিক্যবাদীরা ব্লগে আল্লাহ, রাসুল (সা.) ও ইসলাম সম্পর্কে যেভাবে আক্রমণ করেছে, তা জাতিকে জানিয়েছেন মাত্র। এটা অন্যায় হতে পারে না। তিনি সত্য ও ন্যায়বিচারের পক্ষে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে কলমযুদ্ধ চালিয়ে গেছেন। আল্লামা শফী বলেন, অগণতান্ত্রিক আচরণ ও স্বেচ্ছাচারিতা থেকে বাধা দিয়ে দেশকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে সরকারকে সাহায্য করার জন্য যেমন দায়িত্বশীল বিরোধী দল থাকা প্রয়োজন, তেমনি স্বাধীন সংবাদপত্রের ভূমিকাও অনস্বীকার্য। আমার জানামতে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের বিভিন্ন দায়িত্বশীল মন্ত্রী স্বাধীন সংবাদপত্র ও মতপ্রকাশের ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সুতরাং সরকারের প্রতি আমি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি, মাহমুদুর রহমানকে বার বার রিমান্ডে নিয়ে মৃত্যুর মুখে ঠেলে না দিয়ে অবিলম্বে তাকে মুক্তি দেয়া হোক।
তিনি বলেন, দেশের জনপ্রিয় পত্রিকা দৈনিক আমার দেশ-এর ছাপাখানা খুলে দিয়ে পত্রিকাটি প্রকাশের সব প্রতিবন্ধকতা দূর করে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার প্রতি সরকারের অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করা হোক। কারণ, দৈনিক আমার দেশসহ বেশ কয়েকটি ভিন্নমতের মিডিয়া বন্ধ করা এবং মাহমুদুর রহমানের গ্রেফতার ও রিমান্ড এদেশের মানুষ স্বাভাবিকভাবে নেয়নি। এতে করে শত শত সংবাদকর্মী চাকরি হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। আমি মনে করি, সরকারের ভাবমর্যাদার জন্য দেশে-বিদেশে এটা বরং ক্ষতিকর হয়েছে।
অপরদিকে দৈনিক আমার দশ-এর প্রেসের তালা খুলে দেয়া ও মাহমুদুর রহমানকে মুক্তি দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন দারুল উলুম হাটহাজারী মাদরাসার প্রবীণ মুহাদ্দিস ও হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির আল্লামা হাফেজ মুহাম্মদ শামসুল আলম। বিবৃতিতে তিনি বলেন, মাহমুদুর রহমান সত্য প্রকাশে আপসহীন সাহসী এক বীর যোদ্ধা। তিনি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি আগ্রাসী যে কোনো হুমকির ব্যাপারে জনগণকে অবহিত করতে যেমন কখনও বিলম্ব করতেন না, তেমনি ইসলাম এবং মুসলমানদের দুশমন নাস্তিক্যবাদীদের ষড়যন্ত্র ও অপতত্পরতা সম্পর্কেও জাতিকে সজাগ করে প্রশংসনীয় দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
আল্লামা শামসুল আলম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যারা আল্লাহ, রাসুল (সা.), কোরআন, ইসলাম এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে জঘন্য কুত্সা রটনা করে মুসলমানদের মনে চরম আঘাত ও ক্ষোভ তৈরি করছে, সরকার তাদের গ্রেফতার ও সাজা দিতে কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে বরং উল্টো ইসলামবিদ্বেষীদের অপকর্ম উদ্ঘাটন করার অপরাধে মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতার করে নাস্তিক্যবাদের পক্ষাবলম্বন করেছে। এটা জাতির জন্য অশনি সঙ্কেত ছাড়া আর কিছুই নয়। তিনি অবিলম্বে মাহমুদুর রহমানকে মুক্তি, দৈনিক আমার দেশ-এর প্রেসের তালা খুলে দেয়াসহ ভিন্নমতের গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধের সব অপতত্পরতা বন্ধের আহ্বান জানান।