যখন হাজার বছরের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ও জঘন্য গণহত্যাটা গতরাতে সম্পন্ন হল, তখনও কিছু মানুষ রূপী জানোয়ার এই হত্যাকান্ডকে সমর্থন জানাচ্ছে। আমি এদের জন্মপরিচয়ের ব্যাপারে সমূহ সন্দেহ প্রকাশ করছি। আসলেই কি মানুষের শুক্রানুতে এদের জন্ম হয়েছে? নাকি জানোয়ারের?
এরা সিনেমা দেখে কাঁদে, শিকারীরা পাখি মারলে এদের চোখে পানি আসে, ডাকাতকে পিটিয়ে মারলে এদের মানবতা উথলে উঠে। কিন্তু রাতের অন্ধকারে নিরীহ মানুষগুলোর উপর বর্বর আক্রমন, সকালে ময়ল্বাহী ট্রাকে লাশ গুম করার দৃশ্য দেখেও ওরা উল্লাসে ফেটে পড়েছে।
হায়েনার চেয়েও কুৎসিত এদের হাসি, শুকরের চেয়েও জঘন্য এদের হিংস্রতা, ফেরাউন নমরুদের চেয়েও জঘন্য ওদের মন। আর কখনো যদি এরা মানবতার কথা বলে, পায়ের জুতা খুলে এদের গালে সীল মেরে দেওয়া হবে.........
জনগণের টাকায় কেনা বুলেট দিয়ে জনগণকেই নির্বিচারে গুলি করা হচ্ছে । আর সে জনগণ প্রতিবাদে লাঠি এবং রাস্তায় কুঁড়ে পাওয়া ইট দিয়ে তা প্রতিরোধ করতে গিয়ে গুলি তে মারা যাচ্ছে । এমন কি ৭১ সালের ২৫ মার্চের কালো রাতের অনুকরণে তাদের কে মারা হয়েছে । কি নির্মম , কষ্টকর সে দৃশ্য । অথচ , একদল চেতনাধারী এই নিরীহ মজলুমদের অপবাদ দিল এরা নাকি কুরান পুড়িয়েছে । যারা এই কুরানের অবমাননাকারীদের শাস্তির জন্য আজ রাস্তায় , তারা নাকি কুরান পুড়িয়েছে এই কথা একমাত্র অজ্ঞ রা-ই বলতে পারে , আর কেউ নয় ।
তাদের চোখে ধরা পড়েনা কুরান পোড়ানোর সময় ঐ জায়গায় ছাত্রলীগ ও পুলিশের শক্ত অবস্থান ছিল , যা দিবালোকের মত পরিস্কার যে এটা ষড়যন্ত্র ছিল । তাদের চোখে পড়ে না সারা দেশে গতকাল থেকে পুলিশ-ছাত্রলীগ মিলে এই পর্যন্ত কতজন নিরীহ হেফাজত ইসলামের কর্মীদের হত্যা করেছে । তাদের চোখে শুধু ধরা পড়ে মিথ্যার ভাণ্ডার ও বিশ্ব বেহায়া-নির্লজ্জ টিভি-মিডিয়া কি বলেছে সেটা ।
আমার তো মনে হয় বনের কোন পশু যদি স্বচক্ষে এই বর্বর হত্যাকাণ্ড দেখে তাহলে নীরবে ক্রন্দন করবে , কিন্তু তা এই কঠিন মনোভাবের মানুষগুলোর হৃদয়ে একটুও নাড়া দিবে না । আমরা দুয়া করি এই নামধারী মুসলিম গুলোকে আল্লাহ হেদায়েত দান করুন , যারা কবরের হিসাব বোঝার আগে দুনিয়ার হিসাব বুঝতে ব্যস্ত !
আজ আমাদের সরকার গনহত্যার সঙ্গা খুজছে। কত জন নিহত হলে তাকে গনহত্যা বলা যায়? মাত্র ২০-৩০ জন মানুষ মারা গেলে কি তাকে গনহত্যা বলে? এমন নানা রকম অহেতুক প্রশ্ন তুলে মানুষকে ভূগোল বোঝানোর চেষ্টা করছে। তাদের কাছে আমাদের প্রশ্ন-
১. দিনের বেলায় অভিযান না চালিয়ে রাতের বেলায় কেন অভিযান চালানো হল?
২. কেন দুটি চ্যানেল বন্ধ করেই অভিযান শুরু করা হল?
৩. অভিযানের পূর্বে কেন লাইট বন্ধ করা হল?
৪. বিজিবির সাথে ভীনদেশী পোশাকে কাদের দেখা গেল?
৫. এর পূর্বে সব অভিযানের চিত্র টিভিতে দেখানো হলেও এই অভিযানের কোন চিত্র টিভিতে দেখানো হল না কেন?
অবিলম্বে এসব প্রশ্নের উত্তর জনগনের সামনে প্রকাশ করুন। এবং গনহত্যায় শহীদ হাজার হাজার আলেমের লাশ ফেরত দিন। মনে রাখবেন জনগনও প্রস্তুত আছে আপনাদের হিসাব বুঝে নিতে।