লক্ষাধিক আসামি ১৬ মামলা : হেফাজত মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরী ৯ দিনের রিমান্ডে
মধ্যরাতে হেফাজতে ইসলামের অগণিত নেতাকর্মীকে হত্যার পর সরকার এবার তৌহিদি জনতার প্রাণপ্রিয় এ সংগঠনটির নেতাদের বিরুদ্ধেই হত্যা মামলা দায়ের করেছে। হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরী ও শীর্ষ নেতাসহ লক্ষাধিক কর্মী-সমর্থকের বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ১৬টি মামলা করেছে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের কয়েকজন ব্যক্তি।
এসব মামলায় এরই মধ্যে শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৯ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। এছাড়া অন্য ৪০ হেফাজতকর্মীকে দুই দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়।
পুলিশ জানায়, রাজধানীর পল্টন ও মতিঝিল এলাকায় গত রোববার হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মী এবং সমর্থকদের কথিত সহিংসতার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬টি মামলায় হেফাজত ছাড়া জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদেরও আসামি করা হয়েছে। নাম উল্লেখ ছাড়া এসব মামলায় অজ্ঞাত লক্ষাধিক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
রাজধানীতে পল্টন, বায়তুল মোকাররম এলাকায় অগ্নিসংযোগ ও সরকারি সম্পদ ধ্বংসসহ সহিংসতা চালানোর অভিযোগ আনা হয়েছে হেফাজত নেতাদের বিরুদ্ধে। সোমবার রাতে পল্টন এবং মতিঝিল থানায় এসব মামলা করা হয়। এসব মামলার আসামিদের মধ্যে অধিকাংশই হেফাজতে ইসলামের শীর্ষ নেতা। রোববার মতিঝিলে সমাবেশে যোগ দেয়া হেফাজতকর্মীরা পল্টন, বায়তুল মোকাররম, দৈনিক বাংলা ও মতিঝিল এলাকায় ব্যাপক ভাংচুর চালায় বলে পুলিশ মামলার এজাহারে উল্লেখ করে।
উল্লেখ্য, পুরানাপল্টনে সিপিবি ও হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন ভবনসহ বায়তুল মোকাররম এলাকার অসংখ্য দোকানে এ সময় রহস্যজনক আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া সেলের ডিসি মাসুদুর রহমান জানান, মতিঝিল, পল্টন ও দৈনিক বাংলা এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনায় সোমবার মতিঝিল থানায় ছয়টি, পল্টন থানায় নয়টি ও রমনা থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি সূত্র জানায়, মারধর, লুটতরাজ ও হত্যার অভিযোগ এনে মতিঝিল থানায় করা একটি মামলায় হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরীকে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে তিনটায় মতিঝিল থানার এসআই শেখ মফিজুর রহমান মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরীকে সিএমএম আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন জানান। মহানগর হাকিম মো. তারেক মঈনুল ইসলাম ভুঁইয়ার আদালত বিকাল ৫টায় বাবুনগরীর ৯ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।
হেফাজতের ৪০ কর্মী ২ দিনের রিমান্ডে : পুলিশ জানায়, রাজধানীর শাহবাগ ও রমনা এলাকা থেকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেফতার করা হেফাজতে ইসলামের ৪০ কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর হাকিম মো. ইসমাইল হোসেন তাদের এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রমনা থানা পুলিশ হেফাজতের ২০ কর্মীকে আদালতে হাজির করে ৫৪ ধারায় সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেফতার দেখিয়ে সাত দিন রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করে। আর শাহবাগ পুলিশ আরও ২০ জনকে একইভাবে পাঁচ দিনের রিমান্ডে চায়। দুপুরে শুনানি শেষে বিচারক প্রত্যেকের দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এছাড়া সোমবার হেফাজতের আরও ১৬ কর্মীকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে হাজির করলে তাদের কারাগারে পাঠান বিচারক। গত রোববার হেফাজতে ইসলামীর ঢাকা অবরোধ ও মতিঝিলের সমাবেশ চলাকালে পুলিশের কাজে বাধা, গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ : ডিবি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম জানান, সহিংসতার ঘটনায় শাহবাগ, রমনা ও শ্যামপুর থানায় একটি করে, মতিঝিল থানায় ৫টি, পল্টন থানায় ৮টি মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় ১০০ এজাহার নামীয়সহ লক্ষাধিক আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩টি হত্যা মামলা রয়েছে। প্রায় প্রতিটি মামলায় হেফাজতের আটক করা নেতা হেফাজতের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ইসলামিক ফাউন্ডেশন, হাউস বিল্ডিং মামলা করেছে। এক পথচারী নিহত হওয়ার ঘটনায় তার আত্মীয় বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এছাড়া বাকি মামলাগুলো পুলিশের পক্ষ থেকে করা হয়েছে। এসব মামলায় হেফাজতের মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরী, মুফতি ফয়জুল্লাহসহ বেশিরভাগ কেন্দ্রীয় নেতাসহ ছাত্রদল, যুবদল, জামায়াত, শিবিরের অনেক নেতাকর্মীর নাম রয়েছে বলে জানা গেছে।
মনিরুল ইসলাম বলেন, ঘটনার সঙ্গে যাদের সম্পৃক্ততা পেয়েছি তাদেরও আসামি করা হয়েছে। হেফাজতের কর্মসূচিতে বিপুল পরিমাণ অর্থ দিয়ে যারা সহায়তা করেছে, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।
হেফাজত প্রধান আল্লামা শফীকে আসামি না করার বিষয়ে তিনি বলেন, অবরোধ-পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ সম্পর্কে তিনি সঠিকভাবে অবগত ছিলেন না। তাছাড়া তিনি নাশকতা বন্ধ করতে ব্যবস্থাও নিয়েছিলেন। হেফাজতের ভেতরে থাকা ১৮ দলীয় জোটের নেতাদের জন্য তা করা সম্ভব হয়নি। তবে তদন্তে যদি তার নাম আসে, তবে তাকেও আসামি করা হবে।
এসব মামলায় এরই মধ্যে শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৯ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। এছাড়া অন্য ৪০ হেফাজতকর্মীকে দুই দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়।
পুলিশ জানায়, রাজধানীর পল্টন ও মতিঝিল এলাকায় গত রোববার হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মী এবং সমর্থকদের কথিত সহিংসতার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬টি মামলায় হেফাজত ছাড়া জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদেরও আসামি করা হয়েছে। নাম উল্লেখ ছাড়া এসব মামলায় অজ্ঞাত লক্ষাধিক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
রাজধানীতে পল্টন, বায়তুল মোকাররম এলাকায় অগ্নিসংযোগ ও সরকারি সম্পদ ধ্বংসসহ সহিংসতা চালানোর অভিযোগ আনা হয়েছে হেফাজত নেতাদের বিরুদ্ধে। সোমবার রাতে পল্টন এবং মতিঝিল থানায় এসব মামলা করা হয়। এসব মামলার আসামিদের মধ্যে অধিকাংশই হেফাজতে ইসলামের শীর্ষ নেতা। রোববার মতিঝিলে সমাবেশে যোগ দেয়া হেফাজতকর্মীরা পল্টন, বায়তুল মোকাররম, দৈনিক বাংলা ও মতিঝিল এলাকায় ব্যাপক ভাংচুর চালায় বলে পুলিশ মামলার এজাহারে উল্লেখ করে।
উল্লেখ্য, পুরানাপল্টনে সিপিবি ও হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন ভবনসহ বায়তুল মোকাররম এলাকার অসংখ্য দোকানে এ সময় রহস্যজনক আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া সেলের ডিসি মাসুদুর রহমান জানান, মতিঝিল, পল্টন ও দৈনিক বাংলা এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনায় সোমবার মতিঝিল থানায় ছয়টি, পল্টন থানায় নয়টি ও রমনা থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি সূত্র জানায়, মারধর, লুটতরাজ ও হত্যার অভিযোগ এনে মতিঝিল থানায় করা একটি মামলায় হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরীকে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে তিনটায় মতিঝিল থানার এসআই শেখ মফিজুর রহমান মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরীকে সিএমএম আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন জানান। মহানগর হাকিম মো. তারেক মঈনুল ইসলাম ভুঁইয়ার আদালত বিকাল ৫টায় বাবুনগরীর ৯ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।
হেফাজতের ৪০ কর্মী ২ দিনের রিমান্ডে : পুলিশ জানায়, রাজধানীর শাহবাগ ও রমনা এলাকা থেকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেফতার করা হেফাজতে ইসলামের ৪০ কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর হাকিম মো. ইসমাইল হোসেন তাদের এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রমনা থানা পুলিশ হেফাজতের ২০ কর্মীকে আদালতে হাজির করে ৫৪ ধারায় সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেফতার দেখিয়ে সাত দিন রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করে। আর শাহবাগ পুলিশ আরও ২০ জনকে একইভাবে পাঁচ দিনের রিমান্ডে চায়। দুপুরে শুনানি শেষে বিচারক প্রত্যেকের দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এছাড়া সোমবার হেফাজতের আরও ১৬ কর্মীকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে হাজির করলে তাদের কারাগারে পাঠান বিচারক। গত রোববার হেফাজতে ইসলামীর ঢাকা অবরোধ ও মতিঝিলের সমাবেশ চলাকালে পুলিশের কাজে বাধা, গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ : ডিবি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম জানান, সহিংসতার ঘটনায় শাহবাগ, রমনা ও শ্যামপুর থানায় একটি করে, মতিঝিল থানায় ৫টি, পল্টন থানায় ৮টি মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় ১০০ এজাহার নামীয়সহ লক্ষাধিক আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩টি হত্যা মামলা রয়েছে। প্রায় প্রতিটি মামলায় হেফাজতের আটক করা নেতা হেফাজতের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ইসলামিক ফাউন্ডেশন, হাউস বিল্ডিং মামলা করেছে। এক পথচারী নিহত হওয়ার ঘটনায় তার আত্মীয় বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এছাড়া বাকি মামলাগুলো পুলিশের পক্ষ থেকে করা হয়েছে। এসব মামলায় হেফাজতের মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরী, মুফতি ফয়জুল্লাহসহ বেশিরভাগ কেন্দ্রীয় নেতাসহ ছাত্রদল, যুবদল, জামায়াত, শিবিরের অনেক নেতাকর্মীর নাম রয়েছে বলে জানা গেছে।
মনিরুল ইসলাম বলেন, ঘটনার সঙ্গে যাদের সম্পৃক্ততা পেয়েছি তাদেরও আসামি করা হয়েছে। হেফাজতের কর্মসূচিতে বিপুল পরিমাণ অর্থ দিয়ে যারা সহায়তা করেছে, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।
হেফাজত প্রধান আল্লামা শফীকে আসামি না করার বিষয়ে তিনি বলেন, অবরোধ-পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ সম্পর্কে তিনি সঠিকভাবে অবগত ছিলেন না। তাছাড়া তিনি নাশকতা বন্ধ করতে ব্যবস্থাও নিয়েছিলেন। হেফাজতের ভেতরে থাকা ১৮ দলীয় জোটের নেতাদের জন্য তা করা সম্ভব হয়নি। তবে তদন্তে যদি তার নাম আসে, তবে তাকেও আসামি করা হবে।