সংবিধানের দোহাই দিয়ে প্রকাশ্যে নির্দলীয় সরকারের বিরোধিতায় একগুঁয়েমি করলেও নিরাপদে ক্ষমতা থেকে সরে যেতে চায় আওয়ামী লীগ। সংঘাতময় রাজনীতি, পশ্চিমা (ইউরোপ-আমেরিকা) চাপ, আওয়ামী লীগের প্রতি মানুষের অবিশ্বাসের মধ্যে পাঁচ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর ভরাডুবি; দলীয় নেতা-কর্মীদের মনেবলে বড় ধরনের চির ধরিয়েছে। এই অবস্থায় ক্ষমতা থেকে নিরাপদে সরে যাওয়ার পথ খুঁজছে আওয়ামী লীগ। দলের নীতিনির্ধারণী মহলের অধিকাংশ নেতাই আগের তুলনায় এখন অনেক নমনীয়।
তাদের আশঙ্কা পরিস্থিতি যেদিকে মোর নিচ্ছে তাতে রাজনীতি অসহিষ্ণু হয়ে উঠলে আওয়ামী লীগের অধিকাংশ মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের নিরাপদে এলাকায় গিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালানো কঠিন হবে। আর সেকারণেই তত্ত্বাবধায়ক ইস্যুতে ছাড় দিয়ে হলেও বিএনপি’র সাথে একটি সমঝোতায় যাওয়া তারা দেশ ও গণতন্ত্রের জন্য মঙ্গল মনে করছেন। এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রভাবশালী এক মন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বেলারুশ থেকে দেশে ফিরলে এসব বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা করবো। এই মন্ত্রীর মতে, ভুল শুধরানোর মত সময় আওয়ামী লীগের হাতে একেবারেই কম। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকতেই যা সিদ্ধান্ত নেয়ার দ্রুত নিতে হবে।
তবে প্রকাশে দেখা যাচ্ছে, আওয়ামী লীগের অপর একটি অংশ এখনও হার্ড লাইনেই রয়ে গেছেন। তাদের মতে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে বিএনপি’কে ছাড় দেয়ার কোন সুযোগ নেই। কঠোর অবস্থানে থাকা আওয়ামী লীগের এসব নেতার মনোভাব হচ্ছে, প্রয়োজনে ১৮ দলীয় জোটকে বাদ দিয়েই নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে। ’৯৬ সালের ক্ষমতায় থাকার সময় বিএনপিও আওয়ামী লীগসহ সকল রাজনৈতিক দলকে বাদ দিয়ে ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন করেছিল। এই নেতারা এতোই কঠোর যে, প্রয়োজনে এরা তৃতীয় কোন পক্ষের ক্ষমতা গ্রহণকেও স্বাগত জানাতে প্রস্তুত। তারপরও বিএনপি’র দাবি মেনে তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি পুনরায় সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করার বিপক্ষে।
এ নিয়ে কথা বললে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই মন্ত্রী জানান, পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে তাতে ’৯৬ এর বিএনপি সরকারের মত ‘১৫ ফেব্রুয়ারি মার্কা’ নির্বাচন করা অসম্ভব। তার মতে, ওই সময় প্রশাসন বিএনপি’র পক্ষে ছিল। কিন্ত বর্তমানে এরকম একটি নির্বাচনের ঝুঁকি নিতে গেলে একদিকে যেমন দেশব্যাপী আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি ঘটার শঙ্কা থেকে যাবে; অন্যদিকে প্রশাসনের সহযোগিতা না পাওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেয়া যায় না। কারণ প্রশাসনকে গোপালগঞ্জকরণের ঘটনা ভালভাবে নেয়নি মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তারা। তাছাড়া এমনিতেই সরকারের কথা মানুষ বিশ্বাস করে না তাতে করে এ ধরনের ঝুঁকি আওয়ামী লীগকে আরও জনবিচ্ছিন্ন করবে। তার মতে, নানা ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতির সাথে জড়িত দলের এমন অংশটিই সমঝোতার পরিবর্তে হার্ড লাইনে অবস্থান করছে।
এদিকে, আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের এক নেতা জানান, বিএনপি’কে নির্বাচনে আনতে শেষ পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যাবে আওয়ামী লীগ। এরপরও যদি বিএনপি নির্বাচনে না আসে তাহলে শেখ হাসিনাকে অন্তর্বর্তিকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী রেখে সব দল থেকে সম সংখ্যক সদস্য নিয়ে সরকার গঠন করার প্রস্তাব দেয়া হবে। এক্ষেত্রেও বিএনপি নির্বাচনে না আসলে সমঝোতার মাধ্যমে অন্তর্বর্তিকালীন সরকারের প্রধান কে হবেন সেটি ঠিক করে নির্বাচনে সকল দলের অংশ গ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। এই নেতার মতে, আওয়ামী লীগ আশঙ্কা করছেÑ ক্ষমতা থেকে আওয়ামী লীগ সরে গেলে সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। জনরোষে পড়তে পারে কেন্দ্র থেকে শুরু করে দলের শেকড় পর্যায়ের নেতারা। এ ধরনের পরিস্থিতি এড়াতেই আওয়ামী লীগ সঙ্কট উত্তোরণের একটি উপায় খুঁজছে। এই নেতার মতে, এসব বিষয় নিয়ে ইতোমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার সাথে আলোচনা হয়েছে। বর্তমানে তিনি দেশের বাইরে রয়েছেন। দেশে ফিরলে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আবারও আলোচনা হবে।
তাদের আশঙ্কা পরিস্থিতি যেদিকে মোর নিচ্ছে তাতে রাজনীতি অসহিষ্ণু হয়ে উঠলে আওয়ামী লীগের অধিকাংশ মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের নিরাপদে এলাকায় গিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালানো কঠিন হবে। আর সেকারণেই তত্ত্বাবধায়ক ইস্যুতে ছাড় দিয়ে হলেও বিএনপি’র সাথে একটি সমঝোতায় যাওয়া তারা দেশ ও গণতন্ত্রের জন্য মঙ্গল মনে করছেন। এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রভাবশালী এক মন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বেলারুশ থেকে দেশে ফিরলে এসব বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা করবো। এই মন্ত্রীর মতে, ভুল শুধরানোর মত সময় আওয়ামী লীগের হাতে একেবারেই কম। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকতেই যা সিদ্ধান্ত নেয়ার দ্রুত নিতে হবে।
তবে প্রকাশে দেখা যাচ্ছে, আওয়ামী লীগের অপর একটি অংশ এখনও হার্ড লাইনেই রয়ে গেছেন। তাদের মতে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে বিএনপি’কে ছাড় দেয়ার কোন সুযোগ নেই। কঠোর অবস্থানে থাকা আওয়ামী লীগের এসব নেতার মনোভাব হচ্ছে, প্রয়োজনে ১৮ দলীয় জোটকে বাদ দিয়েই নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে। ’৯৬ সালের ক্ষমতায় থাকার সময় বিএনপিও আওয়ামী লীগসহ সকল রাজনৈতিক দলকে বাদ দিয়ে ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন করেছিল। এই নেতারা এতোই কঠোর যে, প্রয়োজনে এরা তৃতীয় কোন পক্ষের ক্ষমতা গ্রহণকেও স্বাগত জানাতে প্রস্তুত। তারপরও বিএনপি’র দাবি মেনে তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি পুনরায় সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করার বিপক্ষে।
এ নিয়ে কথা বললে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই মন্ত্রী জানান, পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে তাতে ’৯৬ এর বিএনপি সরকারের মত ‘১৫ ফেব্রুয়ারি মার্কা’ নির্বাচন করা অসম্ভব। তার মতে, ওই সময় প্রশাসন বিএনপি’র পক্ষে ছিল। কিন্ত বর্তমানে এরকম একটি নির্বাচনের ঝুঁকি নিতে গেলে একদিকে যেমন দেশব্যাপী আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি ঘটার শঙ্কা থেকে যাবে; অন্যদিকে প্রশাসনের সহযোগিতা না পাওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেয়া যায় না। কারণ প্রশাসনকে গোপালগঞ্জকরণের ঘটনা ভালভাবে নেয়নি মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তারা। তাছাড়া এমনিতেই সরকারের কথা মানুষ বিশ্বাস করে না তাতে করে এ ধরনের ঝুঁকি আওয়ামী লীগকে আরও জনবিচ্ছিন্ন করবে। তার মতে, নানা ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতির সাথে জড়িত দলের এমন অংশটিই সমঝোতার পরিবর্তে হার্ড লাইনে অবস্থান করছে।
এদিকে, আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের এক নেতা জানান, বিএনপি’কে নির্বাচনে আনতে শেষ পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যাবে আওয়ামী লীগ। এরপরও যদি বিএনপি নির্বাচনে না আসে তাহলে শেখ হাসিনাকে অন্তর্বর্তিকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী রেখে সব দল থেকে সম সংখ্যক সদস্য নিয়ে সরকার গঠন করার প্রস্তাব দেয়া হবে। এক্ষেত্রেও বিএনপি নির্বাচনে না আসলে সমঝোতার মাধ্যমে অন্তর্বর্তিকালীন সরকারের প্রধান কে হবেন সেটি ঠিক করে নির্বাচনে সকল দলের অংশ গ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। এই নেতার মতে, আওয়ামী লীগ আশঙ্কা করছেÑ ক্ষমতা থেকে আওয়ামী লীগ সরে গেলে সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। জনরোষে পড়তে পারে কেন্দ্র থেকে শুরু করে দলের শেকড় পর্যায়ের নেতারা। এ ধরনের পরিস্থিতি এড়াতেই আওয়ামী লীগ সঙ্কট উত্তোরণের একটি উপায় খুঁজছে। এই নেতার মতে, এসব বিষয় নিয়ে ইতোমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার সাথে আলোচনা হয়েছে। বর্তমানে তিনি দেশের বাইরে রয়েছেন। দেশে ফিরলে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আবারও আলোচনা হবে।