ইসলামবিদ্বেষীদের দাঁতভাঙা জবাব দেয়া হবে - আল্লামা শফী : ১৩ দফা দাবি তৃণমূলে নিয়ে যেতে মাঠে নামছে হেফাজত
এবার ১৩ দফা দাবি তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দিতে মাঠে নামছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। সোমবার চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদরাসা মিলনায়তনে হেফাজতের শীর্ষ নেতাদের এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে জানা গেছে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির ও দেশের শীর্ষ আলেমে দীন আল্লামা শাহ আহমদ শফী। এতে হেফাজতের কেন্দ্রীয়, চট্টগ্রাম উত্তর, দক্ষিণ ও মহানগর কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় ১৩ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ব্যাপক গণজাগরণ সৃষ্টি ও দলের কর্যক্রম তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দিতে ২০ রমজান পর্যন্ত শাখা পর্যায়ে ইফতার মাহফিল এবং সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে সারাদেশে আলেম-ওলামাকে নিয়ে জাতীয়
সম্মেলনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এ সময় হেফাজতের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী হেফাজত নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ রয়েছে দাবি করে বলেন, দেশের যেখানেই ইসলামবিদ্বেষী শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে, সেখানেই তাদের দাঁতভাঙা জবাব দেয়া হবে।
আল্লামা শাহ আহমদ শফী আরও বলেন, বর্তমান ইসলামবিদ্বেষী অপশক্তির চেয়ে বৃহত্ শক্তি ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শক্তিকে ওলামায়ে কেরাম উপমহাদেশ থেকে বিতাড়িত করেছে, তাদের দোসরদের বিরুদ্ধে লড়াইয়েও আমরা বিজয়ী হবো।
‘চারদিকে হাজারো অপপ্রচার, মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বক্তব্য, নেতাকর্মীদের নামে নানান অপবাদ সত্ত্বেও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সব নেতাকর্মী ঐক্যবদ্ধ রয়েছেন’ দাবি করে হেফাজতের আমির এ সময় আরও বলেন, আমরা আল্লাহ ও তার রাসুল (সা.)-এর সম্মান রক্ষার্থে খানকাহ্ ও কোরআন-হাদিসের দরগাহ ছেড়ে রাজপথে নেমেছি। কোনো হুমকি, নির্যাতন, মামলা, হয়রানি ও ষড়যন্ত্র আমাদের ঈমান রক্ষার আন্দোলন থেকে বিরত রাখতে পারবে না।
আল্লামা শফী এ সময় ‘দেশের যে স্থানে যে কোনো সময়ে ইসলামবিদ্বেষী শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠলে এদেশের নবীপ্রেমিক আলেম-ওলামা ও তাওহিদি জনতা জীবনবাজি রেখে তাদের দাঁতভাঙা জবাব দিতে প্রস্তুত রয়েছে’ বলে হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
সূত্র জানায়, সভায় সর্বসম্মতিক্রমে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কার্যক্রমকে তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দেয়া এবং ১৩ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ব্যাপক গণজাগরণ সৃষ্টির জন্য বেশকিছু কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে।
এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে—পবিত্র মাহে রমজানের পর সেপ্টেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে সারাদেশে ওলামা, পীর-মাশায়েখ ও হেফাজতে ইসলামের জেলা-মহানগর কমিটির নেতাদের নিয়ে জাতীয় ওলামা-মাশায়েখ সম্মেলন, ১৩ দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য প্রতিটি জেলা-উপজেলা, গ্রাম-গঞ্জে আলোচনা সভা, সেমিনার ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা।
এসব কর্মসূচির আগে ২০ রমজান পর্যন্ত নেতাকর্মীরা এতেকাফে বসার আগ পর্যন্ত প্রত্যেক শাখায়/ইউনিটে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে কাজ করবেন বলেও সভায় সিদ্ধান্ত হয় বলে জানা গেছে।
একইসঙ্গে সভায় যেসব মহানগর ও জেলা-উপজেলায় কমিটি গঠিত হয়নি, সেখানে কমিটি গঠন করতে হেফাজত নেতারা কাজ করবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় সারাদেশে নাস্তিক্যবাদবিরোধী চলমান গণআন্দোলনে হেফাজতে ইসলামের তত্পরতা, ৫ মে ঢাকা অবরোধ ও শাপলা চত্বরের মহাসমাবেশে যৌথবাহিনীর বর্বরোচিত গণহত্যা, শোহাদায়ে কেরাম, হেফাজতের মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীসহ আহত নেতাকর্মীদের সুচিকিত্সা, সারাদেশে নেতাকর্মীদের নামে দায়ের করা মিথ্যা মামলা ও ভবিষ্যত্ কর্মসূচি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয় বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করে।
হেফাজতের জরুরি সভায় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র নায়েবে আমির আল্লামা মুহিববুল্লাহ বাবুনগরী, নায়েবে আমির আল্লামা আবদুল মালেক হালিম, আল্লামা হাফেজ শামসুল আলম, আল্লামা মুহাম্মদ ইদ্রিস, আল্লামা সালাহুদ্দিন নানুপুরী, মুফতি জসিমুদ্দিন, মাওলানা ইলিয়াস উসমানী, মাওলানা হাবিবুল্লাহ আজাদীবাজার, মাওলানা আনাস মাদানী, মাওলানা মুফতি হারুন ইজহার, মাওলানা আবদুল জব্বার, মাওলানা নুরুল ইসলাম নানুপুরী, আমিরের একান্ত সচিব মাওলানা শফিউল আলম, মাওলানা ইসহাক, মাওলানা নাছির উদ্দিন মুনির, মাওলানা মীর মুহাম্মদ ইদ্রিস, মাওলানা জাকারিয়া নোমান ফয়জী, মাওলানা মুফতি আবদুল ওয়াহহাব, মাওলানা মুহাম্মদ সোহাইল, মাওলানা আহমদ শফী, হাফেজ মুহাম্মদ ফয়সাল, মাওলানা জুনায়েদ প্রমুখ।
সভায় হেফাজতের আমির দলের ঢাকা মহানগরীর সহকারী সদস্য সচিব ও শায়খুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হকের সন্তান মাওলানা মামুনুল হক, লালবাগ শাহী মসজিদের খতিব মাওলানা মুফতি ইমরান মাজহারীসহ গ্রেফতার করা নেতাকর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
এবার ১৩ দফা দাবি তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দিতে মাঠে নামছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। সোমবার চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদরাসা মিলনায়তনে হেফাজতের শীর্ষ নেতাদের এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে জানা গেছে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির ও দেশের শীর্ষ আলেমে দীন আল্লামা শাহ আহমদ শফী। এতে হেফাজতের কেন্দ্রীয়, চট্টগ্রাম উত্তর, দক্ষিণ ও মহানগর কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় ১৩ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ব্যাপক গণজাগরণ সৃষ্টি ও দলের কর্যক্রম তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দিতে ২০ রমজান পর্যন্ত শাখা পর্যায়ে ইফতার মাহফিল এবং সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে সারাদেশে আলেম-ওলামাকে নিয়ে জাতীয়
সম্মেলনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এ সময় হেফাজতের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী হেফাজত নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ রয়েছে দাবি করে বলেন, দেশের যেখানেই ইসলামবিদ্বেষী শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে, সেখানেই তাদের দাঁতভাঙা জবাব দেয়া হবে।
আল্লামা শাহ আহমদ শফী আরও বলেন, বর্তমান ইসলামবিদ্বেষী অপশক্তির চেয়ে বৃহত্ শক্তি ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শক্তিকে ওলামায়ে কেরাম উপমহাদেশ থেকে বিতাড়িত করেছে, তাদের দোসরদের বিরুদ্ধে লড়াইয়েও আমরা বিজয়ী হবো।
‘চারদিকে হাজারো অপপ্রচার, মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বক্তব্য, নেতাকর্মীদের নামে নানান অপবাদ সত্ত্বেও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সব নেতাকর্মী ঐক্যবদ্ধ রয়েছেন’ দাবি করে হেফাজতের আমির এ সময় আরও বলেন, আমরা আল্লাহ ও তার রাসুল (সা.)-এর সম্মান রক্ষার্থে খানকাহ্ ও কোরআন-হাদিসের দরগাহ ছেড়ে রাজপথে নেমেছি। কোনো হুমকি, নির্যাতন, মামলা, হয়রানি ও ষড়যন্ত্র আমাদের ঈমান রক্ষার আন্দোলন থেকে বিরত রাখতে পারবে না।
আল্লামা শফী এ সময় ‘দেশের যে স্থানে যে কোনো সময়ে ইসলামবিদ্বেষী শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠলে এদেশের নবীপ্রেমিক আলেম-ওলামা ও তাওহিদি জনতা জীবনবাজি রেখে তাদের দাঁতভাঙা জবাব দিতে প্রস্তুত রয়েছে’ বলে হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
সূত্র জানায়, সভায় সর্বসম্মতিক্রমে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কার্যক্রমকে তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দেয়া এবং ১৩ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ব্যাপক গণজাগরণ সৃষ্টির জন্য বেশকিছু কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে।
এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে—পবিত্র মাহে রমজানের পর সেপ্টেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে সারাদেশে ওলামা, পীর-মাশায়েখ ও হেফাজতে ইসলামের জেলা-মহানগর কমিটির নেতাদের নিয়ে জাতীয় ওলামা-মাশায়েখ সম্মেলন, ১৩ দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য প্রতিটি জেলা-উপজেলা, গ্রাম-গঞ্জে আলোচনা সভা, সেমিনার ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা।
এসব কর্মসূচির আগে ২০ রমজান পর্যন্ত নেতাকর্মীরা এতেকাফে বসার আগ পর্যন্ত প্রত্যেক শাখায়/ইউনিটে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে কাজ করবেন বলেও সভায় সিদ্ধান্ত হয় বলে জানা গেছে।
একইসঙ্গে সভায় যেসব মহানগর ও জেলা-উপজেলায় কমিটি গঠিত হয়নি, সেখানে কমিটি গঠন করতে হেফাজত নেতারা কাজ করবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় সারাদেশে নাস্তিক্যবাদবিরোধী চলমান গণআন্দোলনে হেফাজতে ইসলামের তত্পরতা, ৫ মে ঢাকা অবরোধ ও শাপলা চত্বরের মহাসমাবেশে যৌথবাহিনীর বর্বরোচিত গণহত্যা, শোহাদায়ে কেরাম, হেফাজতের মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীসহ আহত নেতাকর্মীদের সুচিকিত্সা, সারাদেশে নেতাকর্মীদের নামে দায়ের করা মিথ্যা মামলা ও ভবিষ্যত্ কর্মসূচি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয় বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করে।
হেফাজতের জরুরি সভায় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র নায়েবে আমির আল্লামা মুহিববুল্লাহ বাবুনগরী, নায়েবে আমির আল্লামা আবদুল মালেক হালিম, আল্লামা হাফেজ শামসুল আলম, আল্লামা মুহাম্মদ ইদ্রিস, আল্লামা সালাহুদ্দিন নানুপুরী, মুফতি জসিমুদ্দিন, মাওলানা ইলিয়াস উসমানী, মাওলানা হাবিবুল্লাহ আজাদীবাজার, মাওলানা আনাস মাদানী, মাওলানা মুফতি হারুন ইজহার, মাওলানা আবদুল জব্বার, মাওলানা নুরুল ইসলাম নানুপুরী, আমিরের একান্ত সচিব মাওলানা শফিউল আলম, মাওলানা ইসহাক, মাওলানা নাছির উদ্দিন মুনির, মাওলানা মীর মুহাম্মদ ইদ্রিস, মাওলানা জাকারিয়া নোমান ফয়জী, মাওলানা মুফতি আবদুল ওয়াহহাব, মাওলানা মুহাম্মদ সোহাইল, মাওলানা আহমদ শফী, হাফেজ মুহাম্মদ ফয়সাল, মাওলানা জুনায়েদ প্রমুখ।
সভায় হেফাজতের আমির দলের ঢাকা মহানগরীর সহকারী সদস্য সচিব ও শায়খুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হকের সন্তান মাওলানা মামুনুল হক, লালবাগ শাহী মসজিদের খতিব মাওলানা মুফতি ইমরান মাজহারীসহ গ্রেফতার করা নেতাকর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।