বাম-নাস্তিকদের পরামর্শে সরকার আলেমদের উপর নির্যাতন করছে : মাওলানা আহমাদুল্লাহ আশরাফ
বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমীর ও হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর মাওলানা শাহ আহমাদুল্লাহ আশরাফ রোববার এক বিবৃতিতে বলেছেন, বর্তমান সরকার মতার দাপটে সৃষ্টিকর্তা, পালনকর্তা আল্লাহ ও তার বান্দা জনগণের হক নষ্টের পাঁয়তারা করে চলেছে। সংবিধানের কুখ্যাত পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানের মূলনীতি থেকে সর্বশক্তিমান আল্লাহর উপর পূর্ন আস্থা ও বিশ্বাস মুছে দিয়ে তদস্থলে ধর্মনিরপেতার মত কুফরী মতবাদ স্থাপন করেছে। তত্তাবধায়ক সরকার প্রথা বাতিল করে দিয়ে অবাধ সুষ্ঠু নিরপে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করেছে। বাম-নাস্তিকদের পরামর্শে আলেম-উলামা ও ইসলামী নেতৃবৃন্দের উপর নির্যাতন, দমন-পীড়ন ও ইসলামী রাজনীতি বন্ধের গভীর ষড়যন্ত্র করছে। নাস্তিক-ব্লগারদের শাস্তির দাবিসহ ১৩ দফা দাবিতে অরাজনৈতিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামের ব্যানারে দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেম-উলামা সর্বস্তরের ঈমানদার জনতা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে যাচ্ছিল। কিন্তু সরকার ঈমানদার নাগরিকদের দাবি পূরণ তো করেইনি বরং পরিকল্পিত হামল-ভাঙচুরের নাটক সাজিয়ে হেফাজত নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে গ্রেফতার করার উছিলা তৈরী করেছে। ইতি মধ্যেই মিথ্যা মামলায় হাজারো লাখো আলেম-উলামা, মাদরাসার ছাত্র-শিক, মসজিদের ইমাম ও মুসল্লিদেরকে জড়িয়ে নামে বেনামে মামলা দিয়ে সারাদেশে আতঙ্ক সৃষ্টি করে রেখেছে। আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী ও মাওলানা মামুনুল হক সহ অনেক আলেমদেরকে গ্রেফতার করে অযৌক্তিক রিমান্ডে নিয়ে শারীরিক ও মানষিক নির্যাতন করছে। ইসলামের পে সংবাদ পরিবেশনের অপরাধে জনপ্রিয় দৈনিক আমার দেশ পত্রিকা প্রকাশনা বন্ধ করে দিয়েছে। মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতের গণজমায়েতে গণহত্যার দৃশ্য ধারনের অপরাধে দিগন্ত ও ইসলামিক টিভি চ্যানেল বন্ধ করে দিয়ে মিডিয়া ও সাংবাধিকদের সাংবিধানিক অধিকার হরণ করেছে। অথচ এসব অপকর্মের কোনটাই আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতিহারে ছিলনা। নব্বই ভাগ মুসলমানের দেশে ইসলামের বিরোধিতা ও মুসলমানকে শত্র“ মনে করে দমন-নির্যাতন হত্যা করার পর এদেশে কেউ রাষ্ট্রীয় মতায় টিকে থাকতে পারবে না। আগামীতে সুষ্ঠু নির্বাচন হলেই পরিস্কার হয়ে যাবে যে, আওয়ামীলীগের জনপ্রিয়তায় ধস নেমেছে।
মাওলানা আশরাফ দৈনিক আমার দেশ, দিগন্ত ও ইসলামিক টিভি চালু এবং মাদ্রাসা-মসজিদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও আলেম-উলামাদেরকে হয়রানী না করার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, হেফাজতের কর্মসূচিতে শুধু মাদরাসার ছাত্র-শিক ও মসজিদের ইমামরাই ছিলেন না বরং নাস্তিক-ব্লগারদের শাস্তির দাবিতে দলমত নির্বিশেষে সর্বস্তরের ঈমানদার জনগণ শরিক ছিলেন। ৫ মে শাপলা চত্বরে সরকারী বাহিনী গুলি করে অসংখ্য ধর্মপ্রাণ শান্তি প্রিয় নিরস্ত্র আল্লাহ ও তার রাসূল প্রেমিক মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি অবিলম্বে এ গণহত্যার সঠিক তদন্ত দাবি করেন। তিনি বলেন, শহীদ ও আহতদের পরিবারগণ মামলা-হামলা ও হয়রানীর ভয়ে এবং সরকারের চাপের মুখেই কেউ মুখ খুলছে না। এভাবে হয়রানী নির্যাতন চালিয়ে সত্যকে বেশী দিন গোপন রাখা যাবে না।