চরম খেসারত দিতে হবে

সংসদের আসন্ন অধিবেশনে ইসলামি দাবিগুলো মেনে নেয়ার আহ্বান

ইসলাম নির্মূলনীতি বন্ধ না হলে সরকারকে চরম খেসারত দিতে হবে : ইসলামি দলগুলো-তারিখ: 19 May, 2013

সম্মিলিত উলামা মাশায়েখ পরিষদের নেতৃবৃন্দ গতকাল এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেন, সংসদের আসন্ন অধিবেশনে ইসলামি দাবিগুলো মেনে না নিলে সরকারকে চরম খেসারত দিতে হবে। দেশ থেকে ইসলামনির্মূলের দেশী-বিদেশী বাতিল চক্র যে চতুর্মুখী ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে তার মোকাবেলায় ঈমানদার মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ জিহাদে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। নাস্তিক, মুরতাদ ও ইসলামের চিরদুশমনেরা সরকারের ছত্রছায়ায় দেশ থেকে ইসলাম ধ্বংসের সর্বাত্মক চেষ্টা করছে। এর মোকাবেলায় দেশের সব ইসলামি শক্তি ঐক্যবদ্ধ হতে না পারলে বাংলাদেশ বিশ্বের মানচিত্র থেকে ইসলামি পরিচিতি হারাবে।
শীর্ষ উলামা নেতৃবৃন্দ বলেন, আল্লামা আহমদ শফী ও আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীসহ শীর্ষ আলেমদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত বন্ধ করুন। নিছক ঈমান রক্ষার তাগিদেই সরলপ্রাণ দ্বীনদার, ঈমানদাররা যখন ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল তখন এই ঈমানি আন্দোলনকে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য নাস্তিক, মুরতাদ ও তাদের দোসররা নিরীহ আলেম উলামা ও তৌহিদি জনতার ওপর নৃশংস হামলা চালায়। বিকেল থেকে হকার ও দোকানিরা হেফাজতের পক্ষে কাজ করেছে, সহযোগিতা করেছে, পানি ও খাবার বিলি করেছে সেই হকারদের দোকানগুলোতে আগুন জ্বালিয়েছে কারা?
অথচ উল্টা ইসলামি নেতৃবৃন্দকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন চালানো হচ্ছে। উলামায়ে কেরামের এ ঈমানি আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য বিশ্ব মিডিয়ায় সন্ত্রাসীদের আক্রমণকে উলামাদের ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়ার অপচেষ্টা চলছে। যদি এ কাজ থেকে সরকার বিরত না হয় তাহলে তাদের চরম খেসারত দিতে হবে এবং দুনিয়া-আখেরাতে তাদের ওপর আল্লাহর গজব সুনিশ্চিত।
সংবিধানে আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস পুনঃস্থাপন, কুরআন-সুন্নাহবিরোধী নারীর প্রতি অবমাননাকর নারীনীতি সংশোধন, ধর্মহীন জাতীয় শিক্ষানীতি সংশোধন, ইসলাম ও মহানবী সা:কে অবমাননাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, মাদরাসা বন্ধের চক্রান্ত বন্ধ সর্বোপরি দেশ ধর্মহীন ও অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার চক্রান্ত বন্ধসহ সব দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত উলামায়ে কেরাম তাদের আন্দোলন থেকে ঘরে ফিরে যাবেন না।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন শীর্ষ আলেমে দ্বীন রাবেতা আলম আল ইসলামির স্থায়ী সদস্য ও সম্মিলিত উলামা মাশায়েখ পরিষদের সভাপতি মাওলানা মুহিউদ্দীন খান, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের প্রধান আমিরে শরিয়ত ও ইসলামি দলগুলোর আহ্বায়ক মাওলানা শাহ আহমদুল্লাহ আশরাফ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সভাপতি শাইখ মাওলানা আবদুল মোমিন, খেলাফত মজলিসের আমির অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক, ইসলামী ঐক্যজোটের আমির মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী, সম্মিলিত উলামা মাশায়েখ পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা যাইনুল আবেদীন, ইসলামি দলগুলোর সদস্যসচিব ও বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা জাফরুল্লাহ খান, সম্মিলিত উলামা মাশায়েখ পরিষদের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা মহিউদ্দীন রব্বানী, যুগ্ম মহাসচিব ড. মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী, ফরায়েজি আন্দোলনের আমির মাওলানা আবদুল্লাহ মোহাম্মাদ হাসান, সম্মিলিত উলামা মাশায়েখ পরিষদের ঢাকা মহানগরী সভাপতি মাওলানা আহমাদ আলী কাসেমী, মীরের সরাইর পীর সাহেব মাওলানা আ: মোমেন নাছেরী, হক্কানি পীর মাশায়েখ পরিষদের সভাপতি শাহতলীর পীর মাওলানা আবুল বশর ও মহাসচিব শর্ষিনার পীর মাওলানা শাহ আরিফ বিল্লাহ সিদ্দিকী, টেকেরহাটের পীর মাওলানা কামরুল ইসলাম সাঈদ আনসারী, ইসলাহুল উম্মাহ চেয়ারম্যান মাওলানা আবু হানিফ নেসারী, জাতীয় খতিব পরিষদের আমির মুফতি মাওলানা মাসউদুর রহমান, জাতীয় ফতোয়া বোর্ড সভাপতি প্রফেসর ড. মাও: ইহইয়ার রহমান, বাংলাদেশ আইম্মাহ পরিষদ সেক্রেটারি জেনারেল মাও: এনামুল হক মূসা, জমিয়াতে উলামায়ে দেওবন্দ পরিষদের সভাপতি মাওঃ মুহাদ্দেস আবদুল্লাহ কাসেমী ও সেক্রেটারি মাও: আবু বকর সিদ্দিক কাসেমী, মুসলিম লীগ সভাপতি নুরুল হক মজুমদার ও মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, ইসলামি পার্টির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আবদুল মোবিন ও মহাসচিব এম এ রশীদ প্রধান, তাহরিকে খতমে নুবয়াতের চেয়ারম্যান ড. মাওলানা সৈয়দ এনায়েত উল্লাহ আব্বাসী পীর সাহেব, জমিয়তুল মুফাসসিরিন সভাপতি মাওলানা বেলাল হোসেন ও সেক্রেটারি মাওলানা নুরুল আমীন, ইসলাহুল মুসলিমিন সভাপতি মুফতি আবুল বাশার, ইসলামের জনতা সভাপতি আবদুল কুদ্দুস, ইসলাম সংগ্রাম সেক্রেটারি ড. মাওলানা আবদুর রহমান, খেলাফত যুব আন্দোলন সভাপতি মুফতি ফখরুল ইসলাম, ইমাম মুয়াজ্জিন পরিষদ সভাপতি মাওলানা সালেহ সিদ্দিকী ও সেক্রেটারি মুফতি জুবায়ের আহমদ, মাদরাসা কল্যাণ পরিষদের সভাপতি মাও: মহিউদ্দীন মাসুম, তালিমুল কুরআন সোসাইটির মহাসচিব মুফতি আবদুল হালিম, আল কুরআন ফাউন্ডেশন সভাপতি মুফতি জামাল উদ্দীন ও সেক্রেটারি মুফতি নূর হোসাইন, জাতীয় ইমাম উলামা পরিষদের সভাপতি শায়খুল হাদী মাওলানা ফজলুর রহমান ও মহাসচিব মাওলানা এ বি এম শফিকুল্লাহ, মাদরাসা মসজিদ ও খানকা ঐক্যপরিষদ সভাপতি মাওলানা রফিকুর রহমান ও সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা গোলাম কিবরিয়া, ইসলামি সমাজ সভাপতি মুফতি মাহমুদুল হাসান ও সেক্রেটারি জেনারেল মুফতি জাকারিয়া ইসলাহী, হফ্ফাজ পরিষদ সভাপতি হাফেজ লেয়াকত হোসাইন ও সেক্রেটারি মুফতি মাহবুবুর রহমান, ইসলামি অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট সভাপতি শায়খুল হাদিস মাওলানা আবদুস সামাদ ও মহাসচিব মুফতি আবু আনাস, নাস্তিক মুরতাদ প্রতিরোধ কমিটির চেয়ারম্যান মুফতি আ ন ম আবদুল কদ্দুস, আহকামে শরিয়াহ হেফাজত কমিটির চেয়ারম্যান মুফতি মাহবুবুর রহমান ও কো-চেয়ারম্যান মুফতি ড. আবু ইউসুফ, ইমাম কল্যাণ সমিতির সভাপতি পীর মাওলানা সালাহ উদ্দীন, জাতীয় ইমাম সোসাইটির মহাসচিব মুফতি জোবায়ের আহমদ কাসেমী, মুফাসসিরে কুরআন মাওলানা লুৎফর রহমান, মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল জব্বার, মুফতি আবদুল মালেক হালীম, মাওলানা আবদুর রহমান চৌধুরী, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মুফতি ঈসা, মুফতি কেফায়েত উল্লাহ, মাওলানা আবুল দাউদ জাকারিয়া, মুফতি ডা: আবদুল কাউয়ুম আযহারী, মুহাদ্দিস মাও: রুহুল আমীন, মুফাসসির আবুল কাশেম গাজী, মুহাদ্দিস আবুল হাসান, মুফতি হোসাইন আহম্মাদ, অধ্যক্ষ মাও: মোশাররফ হোসাইন, মুফতি কাজী জালাল উদ্দীন, মুফতি নূর হোসাইন, মাও: সিরাজুল কবির পীর সাহেব রাজবাড়ী, হজরত মাও: আবু সাঈদ আনসারী পীর সাহেব, হজরত মাও: তৈয়বুর রহমান পীর সাহেব হদুয়া দরবার শরীফ ঝালকাঠী, হজরত মাও: শহিদুল্লাহ পীর সাহেব রহমতপুর বাগেরহাট, হজরত মাও: মো: নরুদ্দিন পীর সাহেব শিংগুলা, হজরত মাও: মো: মহিবুল্লাহ পীর সাহেব, হজরত মাও: মো: ছগির মাহমুদ পীর সাহেব মাদারীপুর, হজরত মাও: মুজাম্মেল হক ও হজরত মাও: সিরাজুল কবির পীর সাহেব রাজবাড়ী প্রমুখ।