বার্তা

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ 
কেন্দ্রীয় কার্যালয়, হাটহাজারী, চট্টগ্রাম ০১৯১৯-৩১৮০৭১,০১৭১৫-২১৬৭৮৮, ০১৮১৯-৩৯১০০৪
সূত্র : তারিখ : ১৮-০৩-২০১৩

সারাদেশে নবীপ্রেমিক জনতার নবজাগরণ ব্যাহত করতে হেফাজতে ইসলামের বিরুদ্ধে কুচক্রি মহল মাঠে নেমেছে; জনগণ সজাগ থাকুন 

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ এর নেতৃত্বে সারাদেশে যখন নবীপ্রেমিক তাওহীদি জনতার নবজাগরণ সৃষ্টি হয়েছে ঠিক তখনই মুখচেনা কুচক্রি মহল হেফাজতে ইসলাম সম্পর্কে অপপ্রচার চালিয়ে মুসলমানকে বিভ্রান্ত করার ব্যর্থ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের প্রচারণা সম্পর্কে সজাগ থাকতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে সংবাদপত্রে একটি বিবৃতি প্রেরণ করেছেন হেফাজতে ইসলাম নেতৃবৃন্দ। Read more


বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, দৈনিক কালের কণ্ঠ, পূর্বকোণ, জনকণ্ঠসহ কয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে জানা গেছে; এক শ্রেণীর কিছু আলিম একটি সেমিনারে উদ্দেশ্যমূলকভাবে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ও এর সম্মানিত আমীর, দেশের সর্বজন শ্রদ্ধেয় শীর্ষ শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী সম্পর্কে মিথ্যা, বানোয়াট, বিভ্রান্তিকর রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে নবীপ্রেমিক তাওহীদি জনতার আন্দোলনের বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থান জানিয়ে দিলেন। আমরা তাদের এই অসত্য, মনগড়া, শিষ্টতা ও রুচিবিবর্জিত এসব বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বর্তমান পরিস্থিতিতে সুন্নী ওলামা-মাশায়েখের করণীয় শীর্ষক সেই সেমিনারে তারা অহেতুক হেফাজতে ইসলাম ও চলমান আন্দোলন সম্পর্কে বিষোদগার করেছেন।

বিবৃতিদাতারা আরও বলেন, চলমান পরিস্থিতিতে শতকরা নব্বই শতাংশ মুসলমানের দেশ ও অলি-আউলিয়ার পদধূলি ধন্য প্রিয়মাতৃভূমিতে কিছু নাস্তিক-নষ্ট তরুণ ও তাদের দোসররা যখন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব ও বিশ্বনবীর অবমাননার মতো স্পর্ধা দেখাচ্ছে; তখন হেফাজতে ইসলামসহ দেশের আলিমসমাজের নেতৃত্বে গোটা দেশ শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ ও অরাজনৈতিক প্লাটফরম থেকে এর বিরুদ্ধে গণআন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। সরকারের প্রতি হেফাজতে ইসলাম দাবি করে আসছে নবী-রাসূলের অবমাননকারীদের যথাযথ শাস্তির আইন পাস করতে। ঠিক এমন মুহূর্তে কিছু সরকারি মাদরাসার আলিম রাসূলের পক্ষে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করার পরিবর্তে পরোক্ষভাবে নাস্তিক-মুরতাদদের পক্ষ নিয়েছে।

আমরা সাধারণ মুসলমানদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, জনগণকে বিভ্রান্ত করা ও প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে গিয়ে তারা আল্লামা আহমদ শফীকে ‘৭১ সালে মুজাহিদ বাহিনীর নেতা ইত্যাদি অপবাদ দেয়ার দুঃসাহস দেখিয়েছেন। নিশ্চয় তারা মুজাহিদ বাহিনীর কমান্ডের দায়িত্ব পালন করতেন; তা না হলে মুজাহিদ বাহিনী সম্পর্কে কীভাবে জানেন ? আমরা তাদের অনুরোধ করব; এসব মিথ্যাচার বন্ধ করে নবীপ্রেমিক জনতার কাতারে শামিল হোন।

বিবৃতিতে বলা হয়, আমাদের সময়সহ কিছু পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে জানা গেছে, হেফাজতে ইসলামের নাম ভাঙিয়ে অন্য একটি ষড়যন্ত্রকারী চক্র লিফলেট ছাপিয়ে হেফাজতে ইসলামকে বিতর্কিত এবং চলমান আন্দোলনের পিঠে চুরিকাঘাতের হীন পাঁয়তারা চালাচ্ছে। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, এই লিফলেটের সঙ্গে হেফাজতে ইসলামের কোনো সম্পর্ক নেই। যারা এটা ছাপিয়ে প্রচার করছে তাদের শনাক্ত করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। কাউকে এসব প্রচারপত্র বিলি করতে দেখলে হাতেনাতে ধরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে সোপর্দ করুন। অপরদিকে কালেরকণ্ঠ, জনকণ্ঠসহ কতিপয় মিডিয়া হেফাজতে ইসলামের কর্মসূচির সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর সম্পর্ক আবিষ্কার করার জন্যে উঠেপড়ে লেগেছে। আমরা বারবার বলেছি, জামায়াত বা তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। যারা হেফাজতে ইসলামের কর্মকাণ্ডে রাজনৈতিক রঙ চড়ানোর উদ্দেশ্যে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে তারা বস্তুত, রাসূলের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে ইসলামের শত্র“দের এজেন্ডা বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছে।

কোনো অপ্রচারের বিভ্রান্ত না হয়ে আগামী ৬ এপ্রিল দেশের সকল জেলা থেকে ঢাকা অভিমুখে হেফাজতে ইসলামের লংমার্চ সফল করার জন্য আমরা সর্বস্তরের নবীপ্রেমিক মুমিন-মুসলমানদের আহ্বান জানাচ্ছি। জাতীয় সংসদে নাস্তিক-মুরতাদদের শাস্তির আইন পাস করাসহ আমাদের দাবি-দাওয়া আদায় না হওয়া পর্যন্ত সর্বস্তরের নবীপ্রেমিক তাওহীদি জনতাকে সাথে নিয়ে আমরা মাঠে থাকবো ইনশাআল্লাহ।

বিবৃতিদাতারা হলেন, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী, নায়েবে আমীর আল্লামা শামসুল আলম, নায়েবে আমীর আল্লামা আবদুল মালেক হালিম, সেক্রেটারী জেনারেল আল্লামা হাফেজ জুনাইদ বাবুনগরী, মাওলানা মুহাম্মদ ইদরিস, মাওলানা সলিমুল্লাহ, মাওলানা তাজুল ইসলাম, মাওলানা লোকমান হাকিম, মাওলানা মুঈনুদ্দিন রূহী, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মাওলানা মীর ইদরিস প্রমুখ।



বার্তা প্রেরক

আজিজুল হক ইসলামাবাদী

০১৯১৯-৩১৮০৭১