গুন্ডা বাহিনী দিয়ে মক্কীনগর মাদরাসায় হামলা কেন: হেফাজত

হেফাজতে ইসলাম ঢাকা মহানগরীর আহবায়ক আল্লামা নূর হোছাইন কাসেমী বলেছেন, দেশের শান্তি প্রিয় মানুষগুলোকে পরিকল্পিতভাবে সংঘাতের দিকে ঠেলে দেয়া কোনোভাবে কল্যাণকর নয়। রাজনীতি হওয়া উচিত দেশের সকল শ্রেণীর মানুষের শান্তি, নিরাপত্তা ও কল্যাণের জন্য। কিন্তু শাসক গোষ্ঠির কোনো কোনো এমপি, মন্ত্রী ও কর্তা ব্যক্তিরা উলঙ্গভাবে মসজিদ মাদরাসা, আলেম-উলামা ও দীনি লেবাসধারী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে জঙ্গিবাদের মিথ্যা বানোয়াট ও গাঁজাখোরী অপপ্রচার করে যাচ্ছে।

আজ দুপুরে হেফাজতে ইসলাম ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে নারায়নগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মরহুম মাওলানা আলতাফ হোসাইন কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত মক্কীনগর মাদরাসা মসজিদে আওয়ামীলীগের সিদ্ধিরগঞ্জ থানা সেক্রেটারী হাজি ইয়াসিন ও তার গুন্ডাবাহিনী কর্তৃক নগ্ন হামলা ও শিক্ষক ছাত্রদের আহত করার প্রতিবাদে এক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আল্লামা কাসেমী বলেন, তাদের কথা বার্তায় মনে হয়, মসজিদ মাদরাসা, আলেম-উলামা আর ইসলামপন্থীদের প্রতিহত করাই এখন তাদের রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব। ব্রাক্ষ্মবাদ ও ইহুদী বাদীদের মিশন বাস্তবায়নের তরীকা যদি এই হয় তাহলে ইহা দেশের মানুষের জন্য শান্তি ও কল্যাণকর নয়। বাস্তবতা মনে রাখতে হবে, দেশের ৯০% মানুষ আলেম-উলামা ও কাওমী মাদরাসার সাথে বিভিন্নভাবে সম্পৃক্ত। যারা এই আদর্শবান শান্তিপ্রিয় মানুষগুলোকে প্রাণের চেয়েও বেশি ভালবাসেন এবং তাদের আবরু ইজ্জতের উপর কোনো ধরণের আঘাত দেশপ্রেমিক জনতা বরদাস্ত করবে না বরং জানবাজী রেখে তাহা প্রতিহত করতে প্রস্তুত রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সিদ্ধিরগঞ্জের মক্কীনগর মাদরাসায় এ নগ্ন হামলা কেন? ইহা কি সরকারের ইসলামী খেদমতের আলামত? নাস্তিক-মুরতাদদের দোসর, ব্রাহ্মন্যবাদীদের দালাল, এমপি মন্ত্রীদের বক্তব্য, বি.বাড়িয়ায় ছাত্র হত্যা আর মক্কীনগর মাদরাসায় হামলা একই সূত্রে গাঁথা। এই হামলা প্রমান করে আওয়ামী সরকার ইসলাম, মুসলিম ও মসজিদ মাদরাসা বিরোধী। তারা ঈমানদার জনতাকে অন্যায়ভাবে প্রতিহত করে মুরতাদ-বেঈমানদের রাজ কায়েম করতে চায়। নেতৃবৃন্দ বলেন, হামলাকারী সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে এবং মাদরাসার জায়গা ভূমিদস্যূদের কবল থেকে উদ্ধার করে প্রতিষ্ঠানকে ফিরিয়ে দিতে হবে। অন্যথায় সারা দেশের কওমী মাদরাসার ছাত্র শিক্ষক অভিভাবক, হিতাকাঙ্খি ও তৌহিদী জনতা রাস্তায় নেমে আসতে বাধ্য হবে।

প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন: মাওলানা আবুল কালাম, মাও. মোস্তফা আযাদ, মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা জাফরুল্লাহ খান, ড. আহমদ আব্দুল কাদের, মাওলানা আব্দুর রব ইউসূফী, হাকীম আব্দুল করীম খান, মাওলানা ইমদাদুল ইসলাম, মাওলানা জুনায়েদ আল-হাবীব, মাওলানা ফজলুল করীম কাসেমী, মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম, মাওলানা শফীকুদ্দীন, শেখ গোলাম আছগর, মাওলানা সাখাওয়াত হুসাইন, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, মাওলানা বাহাউদ্দীন যাকারিয়া, মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, মাওলানা মুফতি মাসউদুল করীম, মাওলানা লোকমান মাযহারী, মুফতী তৈয়ব আল হুসাইনী, মুফতী বশীরুল্লাহ, মাওলানা মুফতি আযহারুল ইসলাম, মাওলানা মুফতি আব্দুস সাত্তার, মাওলানা নাজমুল হাসান, মাওলানা হামেদ জহিরী, মাওলানা আলী আকবর, মুফতি ফখরুল ইসলাম ও মাওলানা হাবীবুল্লাহ ইসলামপুরী প্রমূখ।