এশিয়ার অন্যতম প্রাচীন ইসলামী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসার বার্ষিক মাহ্ফিল ও দস্তারবন্দী সম্মেলন গতকাল শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) লক্ষাধিক মুসল্লীর অংশগ্রহণে আখেরী মুনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়েছে। সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে দারুল উলূম হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক, হেফাজতে ইসলামের আমীর, আল্লামা শাহ্ আহ্মদ শফী বলেছেন, ঈমানী চেতনাবোধের অভাব ও আদর্শহীনতা এবং কথায় কথায় মিথ্যাচারের সংস্কৃতির কারণেই দেশ আজ গভীর সংকটের মুখে পড়েছে। ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ওলামায়ে কেরাম, মাদ্রাসা শিক্ষা ও দাড়ি-টুপীধারিদের বিরুদ্ধে নানা মিথ্যাচার, কাল্পনিক তথ্য ও চক্রান্ত চালিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চলছে। তাই ব্যক্তি থেকে শুরু করে সমাজিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে ধর্মীয় অনুশাসন তথা ইনসাফ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই কেবল বর্তমান সংকট থেকে মুক্তি পেতে আল্লাহর সাহায্য আশা করা যায়।
হেফাজত আমীর কতিপয় মন্ত্রী, এমপি ও কর্মকর্তারা কথায় কথায় জঙ্গীবাদের আশংকার উলামা-মাশায়েখ, কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা, দাড়ি-টুপি, হিজাব, আযানসহ ইসলামী নিদর্শন ও বিধানের বিরুদ্ধে উক্তির তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, বিশেষ কোন গোষ্ঠিকেই খুশী করতে ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশে ধর্মীয় বিশ্বাস ও অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে যাচ্ছে। তাদের কথা বার্তায় মনে হয়, মুসলমানের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে। তিনি হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেন, শান্তিপ্রিয় মুসলমানরা কখনোই এদের ফাঁদে পা দিবে না; বরং ষড়যন্ত্রকারীরাই এক সময় উচ্ছেদ হয়ে যাবে।
বার্ষিক মাহফিলে হেফাজত মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী দেশে নাস্তিকতা ও ইসলাম বিদ্বেষকে পরিকল্পিতভাবে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে বলে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ এনে বলেন, রাজনীতিতে এখন সত্যের মতো করে মিথ্যার চার্চা চালু হয়েছে। বিরোধী রাজনৈতিক শক্তিকে নেতৃত্বশূন্য করার পর ক্ষমতাসীন মহল এবার দেশের আলেম সমাজ ও ক্বওমি মাদ্রাসার দিকে নজর দিয়েছে। কথায় কথায় তারা কওমি মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক ও আলেমদের বিরুদ্ধে জঙ্গীবাদের অভিযোগ এনে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
গতকাল (২৯ জানুয়ারী) শুক্রবার অনুষ্ঠিত হাটহাজারী মাদ্রাসার বার্ষিক মাহফিল ও দস্তারবন্দী সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন, হেফাজতে ইসলামের সিনিয়র নায়েবে আমীর আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী, মাওলানা তফাজ্জুল হক হবিগঞ্জী, মুফতীয়ে আযম মুফতী নূর আহমদ, দারুল উলূম হাটহাজারী মাদ্রাসার বিশিষ্ট মুহাদ্দিস ও হেফাজত মহাসচিব আল্লামা হাফেজ মুহাম্মদ জুনায়েদ বাবুনগরী, আল্লামা নূরুল ইসলাম ওলীপুরী, মাওলানা সালাহ উদ্দীন নানুপুরী, মুফতী মোজাফফর হোসাইন, মাওলানা সাজেদুর রহমান, মুফতী জসীম উদ্দীন, মাওলানা আশরাফ আলী নিজামপুরী, মাওলানা মুহাম্মদ ইয়াহ্্ইয়া, মাওলানা আনাস মাদানী, মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম ঢাকা, মাওলানা নজির আহমদ ঢাকা, ড. আ.ফ.ম. খালেদ হোসেন, মাওলানা আজিজুল হক মাদানী, মাওলানা নোমান মেখলী, মাওলানা মাহমুদুল হাসান প্রমুখ।
উল্লেখ্য, বার্ষিক মাহফিলের পাশাপাশি দস্তারবন্দী সম্মেলন বা বিশেষ সমাবর্তনে দারুল উলূম হাটহাজারী মাদ্রাসা থেকে দাওরায়ে হাদীস (টাইটেল) উত্তীর্ণ আড়াই হাজার তরুণ আলেমকে প্রতিষ্ঠানের নাম ও মনোগ্রাম খচিত বিশেষ সম্মানসূচক পাগড়ী প্রদান করা হয়। পাগড়ী প্রদান করেন হেফাজত আমীর আল্লামা শাহ আহমদ শফীসহ প্রতিষ্ঠানের মুহাদ্দিসবৃন্দ। বিশেষ সমাবর্তনে দারুল উলূম হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক হেফাজত আমীর আল্লামা শাহ্ আহমদ শফী তরুণ আলেমদের উদ্দেশ্যে উপদেশমূলক দীর্ঘ বক্তব্য রেখে বলেন, তোমরা ইসলামের আদর্শ ও শান্তির বাণী প্রচার করার জন্য দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়। সুত্র ওয়েরসাইট.
হেফাজত আমীর কতিপয় মন্ত্রী, এমপি ও কর্মকর্তারা কথায় কথায় জঙ্গীবাদের আশংকার উলামা-মাশায়েখ, কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা, দাড়ি-টুপি, হিজাব, আযানসহ ইসলামী নিদর্শন ও বিধানের বিরুদ্ধে উক্তির তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, বিশেষ কোন গোষ্ঠিকেই খুশী করতে ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশে ধর্মীয় বিশ্বাস ও অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে যাচ্ছে। তাদের কথা বার্তায় মনে হয়, মুসলমানের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে। তিনি হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেন, শান্তিপ্রিয় মুসলমানরা কখনোই এদের ফাঁদে পা দিবে না; বরং ষড়যন্ত্রকারীরাই এক সময় উচ্ছেদ হয়ে যাবে।
বার্ষিক মাহফিলে হেফাজত মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী দেশে নাস্তিকতা ও ইসলাম বিদ্বেষকে পরিকল্পিতভাবে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে বলে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ এনে বলেন, রাজনীতিতে এখন সত্যের মতো করে মিথ্যার চার্চা চালু হয়েছে। বিরোধী রাজনৈতিক শক্তিকে নেতৃত্বশূন্য করার পর ক্ষমতাসীন মহল এবার দেশের আলেম সমাজ ও ক্বওমি মাদ্রাসার দিকে নজর দিয়েছে। কথায় কথায় তারা কওমি মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক ও আলেমদের বিরুদ্ধে জঙ্গীবাদের অভিযোগ এনে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
গতকাল (২৯ জানুয়ারী) শুক্রবার অনুষ্ঠিত হাটহাজারী মাদ্রাসার বার্ষিক মাহফিল ও দস্তারবন্দী সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন, হেফাজতে ইসলামের সিনিয়র নায়েবে আমীর আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী, মাওলানা তফাজ্জুল হক হবিগঞ্জী, মুফতীয়ে আযম মুফতী নূর আহমদ, দারুল উলূম হাটহাজারী মাদ্রাসার বিশিষ্ট মুহাদ্দিস ও হেফাজত মহাসচিব আল্লামা হাফেজ মুহাম্মদ জুনায়েদ বাবুনগরী, আল্লামা নূরুল ইসলাম ওলীপুরী, মাওলানা সালাহ উদ্দীন নানুপুরী, মুফতী মোজাফফর হোসাইন, মাওলানা সাজেদুর রহমান, মুফতী জসীম উদ্দীন, মাওলানা আশরাফ আলী নিজামপুরী, মাওলানা মুহাম্মদ ইয়াহ্্ইয়া, মাওলানা আনাস মাদানী, মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম ঢাকা, মাওলানা নজির আহমদ ঢাকা, ড. আ.ফ.ম. খালেদ হোসেন, মাওলানা আজিজুল হক মাদানী, মাওলানা নোমান মেখলী, মাওলানা মাহমুদুল হাসান প্রমুখ।
উল্লেখ্য, বার্ষিক মাহফিলের পাশাপাশি দস্তারবন্দী সম্মেলন বা বিশেষ সমাবর্তনে দারুল উলূম হাটহাজারী মাদ্রাসা থেকে দাওরায়ে হাদীস (টাইটেল) উত্তীর্ণ আড়াই হাজার তরুণ আলেমকে প্রতিষ্ঠানের নাম ও মনোগ্রাম খচিত বিশেষ সম্মানসূচক পাগড়ী প্রদান করা হয়। পাগড়ী প্রদান করেন হেফাজত আমীর আল্লামা শাহ আহমদ শফীসহ প্রতিষ্ঠানের মুহাদ্দিসবৃন্দ। বিশেষ সমাবর্তনে দারুল উলূম হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক হেফাজত আমীর আল্লামা শাহ্ আহমদ শফী তরুণ আলেমদের উদ্দেশ্যে উপদেশমূলক দীর্ঘ বক্তব্য রেখে বলেন, তোমরা ইসলামের আদর্শ ও শান্তির বাণী প্রচার করার জন্য দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়। সুত্র ওয়েরসাইট.