মিসরে গণহত্যা বন্ধ, ড. মুরসিকে মুক্তি এবং তার হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন। গতকাল জুমার নামাজের পর কামরাঙ্গীরচর মাদরাসায় এই বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। তবে আগে থেকেই ওই এলাকায় ব্যাপক সংখ্যক পুলিশ মাদরাসা ঘিরে রাখায় মিছিলটি মাদরাসার প্রধান ফটকের বাইরে বের হতে পারেনি। এদিকে পুলিশি বাধায় শুক্রবার বিকাল ৩টায় পুরানাপল্টনে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের দোয়া ও শোকরানা অনুষ্ঠান পণ্ড হয়ে গেছে। দলের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের মুক্তিতে শুকরিয়া ও আটক নেতাকর্মীদের মুক্তির জন্য এই দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল সংগঠনটি। কিন্তু সকাল ১০টায় সেখানে একদল পুলিশ গিয়ে নেতাদের খোঁজাখুঁজি করে। অনুমতি না থাকায় এই অনুষ্ঠান করতে দেয়া হবে না বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়। এতে ওই সংশ্লিষ্টরা অনুষ্ঠান করেনি বলে জানা গেছে। কামরাঙ্গীরচরে মিছিল-পরবর্তী সমাবেশে খেলাফত আন্দোলনের আমির ও হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মাওলানা শাহ আহমাদুল্লাহ আশরাফ বলেন, মিসরে জনগণের ভোটে নির্বাচিত বৈধ সরকারকে হটিয়ে অগণতান্ত্রিক অবৈধ সামরিক জান্তা মুরসি সমর্থকদের গণগ্রেফতার, নির্যাতন ও গণহত্যা চালিয়ে পশ্চিমা শক্তি এবং ইসরাইল সে দেশে তাদের পুতুল সরকার গঠনের ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। গণতন্ত্রের দাবিদাররাই সেখানে গণতন্ত্রকে হত্যা করে সামরিক জান্তা স্বৈরতন্ত্রের মদত দিচ্ছে। অবিলম্বে এই হত্যাকাণ্ড বন্ধ করে ড. মুরসিকে মুক্তি দিয়ে তার কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য তিনি দাবি জানান। সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা জাফরুল্লাহ খান, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, খেলাফত আন্দোলনের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী, সহকারী মহাসচিব মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী প্রমুখ।