হেফাজতে ইসলাম দ্বিমুখী আচরণের শিকার
মো: আবদুল লতিফ নেজামী-তারিখ: 25 May, 2013
ইদানীং হেফাজতে ইসলামের ওপর বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর হস্তক্ষেপের অভিযোগ আনা সরকার ও সরকার সমর্থক অনেকের বাতিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকার পতনের ষড়যন্ত্র আবিষ্কার করতেও তারা কসুর করছেন না। এসব বক্তব্য শুনে অবাক না হয়ে পারা যায় না। হেফাজতের পক্ষ থেকে বারবার বলা হচ্ছে যে, সরকার পতনের জন্যও নয়, বা কাউকে সরকারে বসানোর জন্যও হেফাজত আন্দোলনে অবতীর্ণ হয়নি। সংগঠনটি একমাত্র দ্বীনি আন্দোলনের জন্য গঠিত ও পরিচালিত।
এর নেতৃত্বে রয়েছেন এ দেশের কওমি মাদরাসাভিত্তিক প্রথিতযশা উলামায়ে-কেরাম ও পীর-মাশায়েখ, যারা রাজনীতির ধারেকাছেও নেই। তবে তাদের হেফাজতে ইসলামের মতো ইস্যুভিত্তিক ইসলামি আন্দোলনে সম্পৃক্ত হওয়ার বহু নজির রয়েছে। ইসলামি রাজনৈতিক দলের যারা এই সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত, তারা প্রায় সবাই কওমি মাদরাসা পরিচালনার দায়িত্বেও নিয়োজিত। এসব রাজনৈতিক দল হেফাজতে ইসলামের অরাজনৈতিক চরিত্র বজায় রাখার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। হেফাজতে ইসলাম রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক দল, সংগঠন ও ব্যক্তিত্বের সমন্বয়ে গঠিত। এ সংগঠনে যেমন বিরোধী সমর্থক দল, সংগঠন ও ব্যক্তিত্ব রয়েছেন, তেমনি সরকার সমর্থক লোকেরও অভাব নেই। সরকার বা বিরোধী দল কোনোটিই সমর্থন করেন না, এমন লোকের সংখ্যাই হেফাজতে ইসলামে বেশি। তাই হেফাজতে ইসলামকে সরকার বা বিরোধী শিবিরে ভিড়ানো সম্ভব নয়।
হেফাজতে ইসলামের বিরুদ্ধে সরকার পতনের ষড়যন্ত্রের যে অভিযোগ আনা হচ্ছে, তা অমূলক। এ ধরনের অভিযোগ অনুমাননির্ভর এবং অবিশ্বাসযোগ্যও। বলা হচ্ছে, হেফাজতকর্মীরা নাকি পরদিন সচিবালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংক দখল করত। সাঁড়াশি অভিযানে সরকারি ভাষ্য মতে, মাত্র ১০-১৫ মিনিটের মধ্যে যারা শাপলা চত্বর ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়, তাদের পক্ষে সচিবালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংক দখল করা কিভাবে সম্ভব হতো? হেফাজতের যদি এ ধরনের কোনো পরিকল্পনা থাকত, তাহলে তো ৫ মেই তা করত। কারণ তখন লাখো কর্মী শাপলা চত্বরে অবস্থান করছিল। লাখ লাখ কর্মীর উপস্থিতিতে যে কাজ করা হয়নি, এর চেয়ে স্বল্পসংখ্যক কর্মী নিয়ে (সরকারি ভাষ্য মতে হাজার পঞ্চাশেক) পরদিন সচিবালয় দখল করার যুক্তি গ্রহণযোগ্য হতে পারে? বলা হচ্ছে যে, বিরোধী দলের নেত্রী হেফাজতকর্মীদের সাহায্যের জন্যে দলীয় নেতাকর্মী ও ঢাকাবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন। বিরোধীদলীয় নেতার সেই আহ্বান মানবিক কারণে। কারণ হেফাজতকর্মীরা ছিলেন সারা দিনের অভুক্ত। সে দিক বিবেচনা করেই তিনি আহ্বান জানিয়ে থাকবেন। এমনটি করা হয়েছিল শাপলা চত্বরে অনুষ্ঠিত হেফাজতের ৬ এপ্রিলের মহাসমাবেশের দিনেও। সে দিন ক্ষমতাসীন দলসহ দল-মত নির্বিশেষে সর্বস্তরের জনগণ হেফাজতকর্মীদের সেবায় এগিয়ে এসেছিলেন। কাজেই বিরোধী দলের সহায়তায় সরকার পতন ষড়যন্ত্রের যে অভিযোগ হেফাজতের বিরুদ্ধে আনার কোশেশ করা হচ্ছে, তা কষ্টকল্পনা ছাড়া আর কিছুই নয়।
বারবার জোর দিয়ে বলা হয়েছে যে, হেফাজত সরকার পতন আন্দোলনের জন্য গঠিত হয়নি। ক্ষমতায় যাওয়া এর লক্ষ্য নয়। এ দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের জীবনবিধান ইসলাম ধর্ম ধারণ, চর্চা ও অনুশীলনের পরিবেশ তৈরির জন্য গঠিত ও পরিচালিত হচ্ছে।
আল্লামা আহমদ শফীর নেতৃত্বে সর্বস্তরের উলামায়ে-কেরাম, পীর-মাশায়েখ এই সংগঠনে সম্পৃক্ত হয়েছেন। যোগ দিয়েছে ইসলামি রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও ব্যক্তিত্বসমূহ। সৃষ্টি হয়েছে অভূতপূর্ব মহাজাগরণ। হেফাজতে ইসলামের বৈশিষ্ট্য এই যে, এই সংগঠনে সর্বস্তরের জনতার সম্পৃক্তির অতীত রেকর্ড ভঙ্গ হয়েছে।
নৈরাজ্য প্রতিরোধ, আইনের শাসন রক্ষা এবং জনগণের নিরাপত্তা বিধানের জন্য ৫ মে দিবাগত রাত প্রায় ২টায় শাপলা চত্বরে হেফাজতকর্মীদের ওপর সাঁড়াশি অভিযান চালানো অপরিহার্য হয়ে পড়েছিল বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত প্রেসনোটে বলা হয়েছে। অভিযানে কোনো প্রাণহানি হয়নি বলেও দাবি করা হয়। এই প্রেসনোট প্রকৃত সত্যকে আড়ার করার শামিল বলে অনেকে মনে করেন। কেননা, শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ চলাকালে গুলিস্তান, বঙ্গবন্ধু এভিনিউ, পল্টন, বায়তুল মোকাররম ও বিজয়নগর এলাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে সংঘটিত অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টিকারীদের মোকাবেলায় পুলিশ তেমন ভূমিকা পালন করেনি। অথচ রাত ২টায় শাপলা চত্বরে অবস্থান গ্রহণকারী সারা দিনের অভুক্ত, কান্ত, শ্রান্ত ও ঘুমন্ত কর্মীদের ওপর যৌথবাহিনী সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করেছে। শাহবাগ চত্বরে অনুমতিবিহীন সমাবেশ মাসের পর মাস অব্যাহত ছিল। আর শাপলা চত্বরে অনুমতিপ্রাপ্ত সমাবেশ শেষে এক রাতও অবস্থান করতে দেয়া হয়নি। সেদিন অনন্যোপায় হয়ে শাপলা চত্বরে অবস্থান নিতে বাধ্য হয়েছিল কর্মীরা। কারণ আল্লামা আহমদ শফী নিরাপত্তাজনিত কারণে আসতে না পারায় নির্ধারিত সময়ে সমাবেশ শেষ করা যায়নি। কর্মীরা ফজর পর্যন্ত অবস্থান করছিল আমিরের আসার অপেক্ষায়। দূর-দূরান্ত থেকে আগত কর্মীদের পক্ষে রাতের বেলা নিজ নিজ গন্তব্যে ফেরত যাওয়াও নিরাপদ ছিল না। কারণ দিনের বেলায়ই বিভিন্ন স্থানে তারা আক্রমণের শিকার হয়েছে। তাই রাতের বেলা ফেরার পথে আক্রমণের আশঙ্কা আরো বেড়ে যায়। হেফাজতকর্মীদের শাপলা চত্বরে অবস্থানের কারণ ছিল এটাই। রাজধানী ও আশপাশ এলাকার কর্মীরা সন্ধ্যার আগেই নিজ নিজ এলাকায় চলে যান। শাহবাগে মঞ্চ মাসের পর মাস অব্যাহত থাকলেও গণতন্ত্র ও আইনের শাসন ব্যাহত হয় না। আর হেফাজতকর্মীদের এক রাত থাকতেও দেয়া হলো না গণতন্ত্র ও আইনের শাসন রক্ষার অজুহাতে। সরকারের এমন দ্বিমুখী নীতি সেদিন দেশবাসী অবাক বিস্ময়ে লক্ষ করেন।
হেফাজতকর্মীদের বিরুদ্ধে সড়ক বিভাজক ও স্টিল স্ট্রাকচার ধ্বংস এবং গাছ কাটার অভিযোগ আনা হয় প্রেসনোটে। এই অভিযোগ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। কারণ তাদের এ কাজ করার মতো কোনো হাতিয়ারই ছিল না। তাদের সাথে ছিল জায়নামাজ ও তসবিহ। এগুলো দিয়ে কি তৈরি সড়ক বিভাজক ও স্টিল স্ট্রাকচার ধ্বংস করা যায়? সমাজে হেফাজতকর্মীদের হেয়প্রতিপন্ন করাই এই অপপ্রচারণার লক্ষ্য। সাঁড়াশি অভিযানকালে নিক্ষেপিত মুহুর্মুহু গুলি ও সাউন্ড গ্রেনেডের বিকট শব্দে হতবিহ্বল কর্মীদের পক্ষে সড়ক বিভাজক ভাঙার কাজে প্রবৃত্ত হওয়া কতটুকু সম্ভব, তা সহজেই অনুমেয়। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সাথে হেফাজতকর্মীরা জড়িত ছিল, না নিজের নাক কেটে অন্যের যাত্রা ভঙ্গের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছিল তা একদিন উদঘাটিত হবেই। শাপলা চত্বরে সাঁড়াশি অভিযানের প্রকৃত রহস্য সাময়িকভাবে ধামাচাপা দেয়া সম্ভব হলেও, সত্য একদিন প্রকাশিত হবেই। আর গোয়েবলসীয় প্রচারণা একদিন যে মিথ্যা প্রমাণিত হবে, তাতে সন্দেহ নেই।
মহান আল্লাহ, মহানবী সা:, ইসলাম, মুসলমান ও ইসলামের বিভিন্ন অনুশাসন সম্পর্কে শাহবাগ মঞ্চের একশ্রেণীর ব্লগারের রঙ্গব্যঙ্গ করার পরই হেফাজতে ইসলামের অভিপ্রকাশ ঘটে। ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী, সমাজতন্ত্রী ও নাস্তিক্যবাদে বিশ্বাসী ব্লগারদের ইসলামবিরোধী বিশ্বাস, চেতনা ও উপলব্ধি তখন জনগণের সামনে সন্দেহাতীতভাবে উন্মোচিত হয়। ইসলামবিদ্বেষী ব্লগারদের চিনতে যখন দেশবাসী সক্ষম হয়, তখনই হেফাজতে ইসলাম জাতির সামনে হাজির হয় এসব ব্লগারের সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান রেখে আইন প্রণয়নের দাবিতে।
অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে এ দেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই শাহবাগ তৈরি করা হয় বলে অনেকে মনে করেন। এই মঞ্চ যে বিদেশীদের সহযোগিতায় পরিচালিত হচ্ছিল, ভারতের ইংরেজি দৈনিক দি টাইমস অব ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত খবর তারই প্রকৃষ্ট প্রমাণ। তা ছাড়া এ মঞ্চের সাথে সংহতি প্রকাশের জন্য পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরা থেকে ঢাকা অভিমুখী লংমার্চের কর্মসূচিতে প্রশ্ন জাগা স্বাভাবিক যে, এই মঞ্চের নিয়ন্ত্রক কারা? ভারতীয় ভিসাপ্রার্থীদের ওপর যখন শাহবাগ মঞ্চে যাওয়ার শর্তারোপ করা হয়, তখন আর বুঝতে কষ্ট হওয়ার কথা নয় যে, ‘শাহবাগ নাটক’ কাদের দ্বারা প্রযোজিত ও মঞ্চায়িত। এই মঞ্চের রসদ জোগানের পেছনে কারা। মঞ্চের কলাকুশলী ও অভিনেতাদের দুরভিসন্ধিমূলক কর্মকাণ্ড ফাঁস হয়ে যাওয়ায় বিভিন্ন স্থানে তারা প্রতিরোধের সম্মুখীন হয়। বিভিন্ন স্থানে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে তাদের সাথে আপস না করার দৃঢ়সঙ্কল্প ব্যক্ত করা হয়। তাদের জারিজুরি প্রকাশ হয়ে পড়ায় এ দেশের জনগণের উপলব্ধি জাগ্রত হয়েছে। ইসলামবিদ্বেষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সূচিত আন্দোলন সফল না হওয়া পর্যন্ত অব্যাহত থাকার দৃঢ়সঙ্কল্প ব্যক্ত হওয়ার পর ইসলামপন্থীদের বিরুদ্ধে বিষোদগার করা শুরু হয়। ‘জঙ্গি’ আখ্যা দিয়ে ইসলামি রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও ব্যক্তিত্বের ভাবমূর্তি ুণœ করার অপপ্রয়াস অব্যাহত থাকে।
হেফাজতের ১৩ দফা দাবিকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেয়ার প্রবণতা লক্ষ করা যাচ্ছে। অযৌক্তিক দাবি ১৩ দফায় করা হয়নি। অন্যান্য দেশের মতো এ দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের ধর্মীয় বিশ্বাস ও মূল্যবোধ এবং সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্যকে গুরুত্ব দেয়ার কথা বলা হয়েছে। এখানে বিভিন্ন দেশে জনগণের অনুভূতির কথা বিবেচনা করে ধর্মীয় মূল্যবোধকে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার মধ্যে আনা হয়। ইউরোপীয় দেশগুলো এবং আমেরিকার সংবিধানে ও ধর্মীয় প্রবণতা লক্ষণীয়। এসব দেশে রাষ্ট্রধর্মেরও বিধান আছে। তাই হেফাজত চায় সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের ধর্মীয় বিশ্বাস ও মূল্যবোধ এবং সাংস্কৃতিক চেতনাকে গুরুত্ব দেয়া হোক। ধর্মের প্রভাব পাশ্চাত্যের অনেক রাষ্ট্রের বিভিন্ন স্তরে বিদ্যমান। মার্কিন ডলারে ‘ইন গড উই ট্রাস্ট’সহ তাদের শপথ, শিক্ষাব্যবস্থা, চার্চ, পোপ, ট্রিনিটি, ক্রুশ, রীতিনীতি, কংগ্রেস ও পার্লামেন্টের কার্যবিবরণী, রোববারের অনুষ্ঠানাদি, রাষ্ট্রীয় আচার-অনুষ্ঠান, শিক্ষার সিলেবাস, কারিকুলাম,পত্র-পত্রিকা, রেডিও-টিভি, চলচ্চিত্র, ব্যক্তি জীবন, সংস্কৃতিÑ সর্বত্রই রয়েছে ধর্মীয় প্রতীকের উপস্থিতি।
হেফাজত নেতাকর্মীদের গ্রেফতার এবং ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা সমস্যার সমাধান নয়। কুরুচিপূর্ণ বক্তৃতা-বিবৃতি প্রদান করে আল্লামা আহমদ শফীর নেতৃত্বে ইসলামবিদ্বেষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সূচিত আন্দোলনের গতিধারা রোধ করা সম্ভব হবে বলে মনে হয় না। কারণ হেফাজতে ইসলামের নেতৃত্বে ধর্মীয় বিশ্বাসের ভিত্তিতে জীবনধারণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আগ্রহী ও ঐক্যবদ্ধ জনগণের মহাজাগরণ সৃষ্টি হয়েছে।
কর্মীদের এই ত্যাগ-তিতিক্ষা শুধু হৃদয়বিদারক ও মর্মস্পর্শী ঘটনা হয়ে থাকবে না, বরং এক শিক্ষণীয় ও অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে, ভবিষ্যতে যা জালিমের বিরুদ্ধে মজলুমের, অন্যায়ের বিরুদ্ধে সত্যের সংগ্রামে পাথেয় হয়ে থাকবে। যুগে যুগে ইসলামপন্থীদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতনের স্টিমরোলার চালানো হয়েছে। কিন্তু অন্যায়ের সাথে আপস করা হয়নি।
হেফাজত ‘ফুটা বেলুন’, ‘গর্তে ঢুকে গেছে’ এবং ‘বিরোধী দলের প্রভাব পড়েছে’Ñ এমত বাগাড়ম্বর না করে এই আন্দোলনের তাৎপর্য অনুধাবন এবং মুসলিমমানস কেন আজ সংক্ষুব্ধ তার উত্তর খোঁজার চেষ্টা করা উচিত। ইসলাম একটি সার্বজনীন মানবিকতাসম্পন্ন পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান। আর হেফাজত এরই প্রবক্তা। সাম্রাজ্যবাদ, সম্প্রসারণবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা ও পৌত্তলিকতার বিরুদ্ধে অনড় অবস্থানের কারণেই হেফাজতে ইসলাম কায়েমি স্বার্থের প্রতিরোধের সম্মুখীন হচ্ছে।
লেখক : ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান ও নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব